হিমালয়ান শকুন দেখে খুশি বন বিভাগ ও পরিবেশপ্রেমীরা

দীর্ঘ্য সময় পর ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন রেল লাইনের পাড়ে। হিমালয়ান শকুন দেখতে ভিড় জমালো আম জনতা, পাহাড়ে বরফ পরায় খাদ্যের সন্ধানে সমতল মুখি। মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রেল পথের ধারে একটি মৃত গবাদি পশুর দেহ ঘিরে একঝাঁক শকুনের ভুরিভোজ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বন বিভাগের বিশেষ স্কোয়াড। তবে শকুন দেখতে ভিড় জমালেও বিলুপ্ত প্রায় এই হিমালয়ান ভালচারদের কোনো ভাবেই বিরক্ত করে নি সাধারণ মানুষ।

দীর্ঘ সময় পর এত সংখ্যা শকুনের দেখা পাওয়ায় খুশির মহল বন বিভাগ থেকে পরিবেশ কর্মীদের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে বার্ডস্ ওয়াচার্স সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিশ্বপ্রিয় রাউত জানান, যে শকুন গুলোকে দেখা যাচ্ছে,সেই গুলো হিমালয়ান গ্রিফান বা হিমালয়ান ভালচার, ভারত বর্ষে ৯ টি প্রজাতির শকুন দেখতে পাওয়া যায়।

এই শকুন গুলো মূলত হিমালয় পাহাড়ের উচ্চ স্থানে অবস্থান করে,তবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, শীত কালে এই প্রজাতির শকুন পাহাড়ের উচ্চ স্থান থেকে কিছুটা সমতল মুখি হয়, সেটির অন্যান্য কারণের মধ্যে শীত কালে পাহাড়ে বরফ পরলে এদের পক্ষে আহার খুঁজে পেতে সমস্যা হয়,সেই কারণেই এই সময়টায় এই শকুন গুলো সমতলে নেমে আসে খাদ্যের সন্ধানে।