উত্তরবঙ্গের একের পর এক জঙ্গলে আগুন লাগায় চিন্তিত বন বিভাগ সহ পরিবেশ কর্মীরা

বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গের বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলার জাতীয় এবং রাজ্যে সড়কের আশপাশে থাকা বন্য প্রাণীতে ভরা একের পর এক জঙ্গলের মধ্যে পরে থাকা শুকনো পাতায় আগুন জ্বলছে, যদিও বসে নেই বন বিভাগ সহ পরিবেশ কর্মীরা, নিজেদের সীমিত সাধ্য নিয়েই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চলছে লড়াই। আগুনের লেলিহান শিখায় ইতিমধ্যেই নিকেশ হয়েছে ছোটো ছোটো কিট পতঙ্গ থেকে শুরু করে গাছের মগডালে পাখির নীড়ে থাকা সদ্য এই পৃথিবীতে আসা অসহায় ছানাগুলো। বন দফতরের পক্ষ থেকে যদিও চলছে নানান ধরনের সচেতনতা মূলক প্রচার, কোথাও আবার স্বয়ং বন কর্তা পরিবেশ কর্মী দের সঙ্গে নিয়ে ঝাড়ু হাতে নেমেছে জঙ্গল গেসা রাস্তার পাশে পরে থাকা আবর্জনা। তবে এবার যে কারনে উত্তরের বিভিন্ন সড়কের পাশে অবস্থিত জঙ্গল গুলিতে শুকনো পাতা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম  একটি কারণ কাচের বোতল বিশেষত মদের বোতল।

এই প্রসঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে ডুয়ার্সের জঙ্গল এলাকায় পরিবেশ রক্ষার কাছে নিজেকে নিযুক্ত রাখা পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী তানিয়া হক সর্দার সম্প্রতি এমনটাই পর্যবেক্ষন করেছেন বলে জানান। ঘটনা প্রসঙ্গে তানিয়া হক বলেন, আমরা এবং বন দফতর লাগাতার জঙ্গলের আশপাশে অবস্থিত বন বস্তিবাসী দের নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করে যাচ্ছি। কারন জঙ্গলের ভেতরে বিভিন্ন কারণে এমন মানুষদের প্রবেশ ঘটে , সেই ক্ষেত্রে জ্বলন্ত বিড়ি সিগারেট থেকেও আগুনের উৎপত্তি হয়। তবে আগুন লাগার পেছনে জঙ্গলের পাস দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকদের কিছু অংশ জঙ্গলের ভেতরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে যান মদের বোতল,মূলত কাচের যে বোতল গুলো ছুঁড়ে ফেলার কারণে জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পরে রইলো সবার অজান্তে ,আমাদের ধারণা সেই কাচ রোদের উত্তাপ পেয়ে অনেকটা ম্যাগনি ফায়িং গ্লাসের কাজ করে ,সেই ক্ষেত্রে আগুন সৃষ্টি হবার সম্ভবনা কোনো ভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে না।

যদিও বন দফতর এবং পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে বারংবার জঙ্গল ভ্রমণের স্বাদ নিতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানিয় যারা মূলত গাড়ী চেপে উইক এন্ড মানাতে জঙ্গল পথে ঘুরে বেড়ান তাদের কাছে আবেদন করছি , জঙ্গল এবং জঙ্গলের পথে কোনো আবর্জনায় ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না।