দু বছর বাদে প্রথমবার, রাজ্যের অন্যতম মামলার চার্জশিট পেশা হলো। মামলা দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত চলছে দু বছর ধরে। কয়লা কাণ্ডের মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর প্রথমবার চার্জশিট জমা করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে এই মামলায় তদন্তভার হাতে নিয়েছিল তারা।
২০২২ সালের জুলাই মাসে তারা প্রথম চার্জশিট দিল আদালতে। সিবিআইয়ের এই চার্জশিটে প্রাথমিকভাবে নাম রয়েছে ৪১ জনের। পরে আরও বেশ কয়েকটি নাম এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাতে লালা সহ ৪১ জনের নাম আছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশেরও। এছাড়াও ৪ জন কয়লা মাফিয়ার নামও ওই তালিকায় আছে বলে জানা গিয়েছে।
এবার চার্জশিটে যাদের যাদের নাম আছে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারবে সিবিআই। পরবর্তীক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে জেরা করাও যেতে পারে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কয়লা পাচার কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রথমবার সমন এড়ালেও, দ্বিতীয়বার তাতে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছন শওকত।
কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই জানতে পারে, আসানসোল থেকে অবৈধভাবে খনি থেকে যে কয়লা তোলা হত, তা পৌঁছে যেত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়৷ ক্যানিংয়ে যে ইটভাটা রয়েছে, সেখানেও প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণে কয়লা যেত বলে খবর৷
কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসাবে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা হত৷ সম্প্রতি আবার এই কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ ইসিএল কর্তাকে। তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই আদালত। এই তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি টাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে।