অবৈধভাবে ভারতে থাকার অপরাধে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার পাঁচ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে ভারতে থাকার অপরাধে সোনারপুর থেকে গ্রেফতার পাঁচ বাংলাদেশি হলেন তুষার আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, সামিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ শামিম ও মোহাম্মদ জলিল । এই পাঁচজনের মধ্যে ৪ জন বৈধভাবে ভারতে এলেও জলিল অবৈধভাবে এসেছেন বলে জানা গেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সীমান্ত দিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করেছে বলে খবর। ধৃতদের মধ্যে জলিল ভারতে এসে জাল আধার কার্ড তৈরি করেছে বলেও জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। বাংলাদেশের ঢাকা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও লক্ষ্মীপুর এলাকায় বাড়ি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের থানায় মামলা রয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। একজন চীনেও গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই পাওয়া গেছে বাংলাদেশি সিমকার্ড।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের জুলাই মাস নাগাদ তারা ভারতে আসেন। তারপর থেকে সোনারপুরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সবাই একটি গেঞ্জি কারখানায় কাজ করতেন। রবিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ বৈকুন্ঠপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। এখানে এসে তারা কোনও দুষ্কৃতিমূলক কাজকর্মে জড়িত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি। ধৃতদের মধ্যে ৪ জন টুরিস্ট ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা এখানেই রয়ে যান। এদিকে, মুর্শিদাবাদের সুতিতে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পুলিশের জালে গ্রেফতার তিন সন্দেহভাজন। তিনজনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি এবং একজন মালদার বাসিন্দা। রবিবার রাতে সুতি থানার অন্তর্গত বাগশিরা পাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকা তিনজনকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কথাবার্তায় অসংগতি থাকায় গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই। ধৃত মেহেবুব আলম ও অমিত চাঁদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা।

অন্যদিকে জামিরুল শেখ মালদার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাংলাদেশ থেকে বাচ্চাদের পোশাক এদেশে এনে পাচারের উদ্দেশ্যেই ছিল। সেই জামাকাপড় মালদার ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্যই আসে দুই বাংলাদেশি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, হাত বদলের সময় হাতেনাতে ধরা পরে তিনজন। তবে কীভাবে সীমান্তের কড়া নিরাপত্তা এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশে ঢুকলো, কতদিন দরে চলছিল এই কারবার, আর কারা কারা যুক্ত–ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সোমবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তাদের হাজির করে সুতি থানার পুলিশ।