লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এরই মাঝে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল ফিরহাদ হাকিমকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, এই রদবদলের মূল কারণ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার। মনে করা হচ্ছে, সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে তৃণমূল বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে সাগরদিঘির ফলাফল দেখে। তাই আরও বাড়তি চেষ্টা করা হচ্ছে তাদের সমর্থন আরও মজবুত করতে। এই কারণেই ফুরফুরা শরিফে এই বদল ঘটানো হল, যা আদতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলেই মত অধিকাংশের।
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সাগরদিঘির ফল দেখার পর তৃণমূল শিবির মনে করছে যে সংখ্যালঘুরা হয়তো ধীরে ধীরে তাদের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের কাছে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি ও দীর্ঘদিন তাঁর জেলে আটকে থাকা নিয়ে নেতিবাচক মনোভাবও সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মূল বিষয় জানার জন্য দুই সংখ্যালঘু নেতা-নেত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।