আসন্ন উৎসবে বাজির ধোঁয়া ক্ষতিকর হতে পারে

আসতে চলেছে আরেক উৎসব। সামনেই আসন্ন কালীপুজো। এমনিতেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজোর পর থেকে কলকাতা সহ রাজ্যজুড়ে করোনার দাপট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে৷ এবার চিন্তা আলোর উৎসব দীপাবলিতে দেদার বাজি পোড়ার৷ বারুদ-পোড়া সেই ধোঁয়ায় বিষাক্ত হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। আর বাজির ধোঁওয়ায়  পরিবেশের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সেই আশঙ্কায় চিন্তিত চিকিৎসক মহল। কোভিড আক্রান্ত তো বটেই, কোভিডমুক্তদেরও নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকরা। 

কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে সমস্যা
প্রতি বছর কালীপুজোর সময় বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায় অত্যাধিক হারে৷ আর করোনা আবহে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার নেওয়ার আশঙ্কা করছেন  চিকিৎসকরা৷ কোভিড আবহে বাজির ধোঁয়া বিষ পানের মতো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্কবাণী চিকিৎসকদের৷ কোভিডমুক্তদেরও নতুন করে সমস্যায় ফেলতে পারে৷ করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও অনেকের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্তই থেকে যায়। বাজির দূষিত ধোঁয়া দুর্বল মানুষগুলো শ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করলে আরও বিপদ বাড়বে ধোঁয়ার বাজি বেশি ভয়াবহ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ ফলে সেটা নিয়ে ভাবতেও বলছেন৷

শিশুদের ক্ষেত্রে সমস্যা
কালীপুজোয় বাজি পোড়ানো থেকে শিশুদে ফুসফুসে সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ এছাড়াও যেসব শিশুর এমনিতেই ঠান্ডা লেগে থাকে, বাজির বিষাক্ত ধোঁয়ায় সেই বিপদ আরও বেড়ে যেতে পারে।

বয়স্কদের সমস্যা
চিকিৎসকদের মতে, সিওপিডিতে আক্রান্ত ভোগা বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সমস্যা বাজির ধোঁয়ায় তা বেড়ে যায়। এছাড়াও করোনা থেকে সেরে যে বয়স্কদের ক্ষেত্রে ফুসফুসে ইনফেকশন বেড়ে যায়। কালীপুজোয় বাজি ফাটানোর ফলে বায়ু দূষণ হয়৷ আর এই সময় মর্নিং বা ইভিনিং ওয়াকে যাওয়া প্রবীণদের ক্ষতি হয়৷ যেসব বয়স্করা এমনিতেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা  ধোঁয়া ইনহেল করলে ক্ষতি হতে পারে৷