অবশেষে এনকাউন্টারে খতম হল সিধু মুসেওয়ালার দুই খুনি

অবশেষে নিস্পত্তি, সাজা পেলো অপরাধী। পাঞ্জাবে দিনদুপুরে পুলিশি এনকাউণ্টার। টানা চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে খতম করা হল জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুনের ঘটনায় জড়িত ২ গ্যাংস্টারসহ মোট চারজনকে।

প্রসঙ্গত এদিন সকাল থেকেই হাই আলার্টে ছিল অমৃতসরের আত্তারি গ্রাম। কারণ এই গ্রামেরই একটি পুরানো হাভেলিতে গুন্ডারা লুকিয়ে আছে বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে। এরপরই শুরু হয় গুলির লড়াই।

পুলিশের কাছে তথ্য ছিল ওই পুরনো বাড়িটিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ জন শুটার গা ঢাকা দিয়েছে। এরপরই প্রায় ৩০০ জন পুলিশকর্মী মিলে দিয়ে ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। পাঞ্জাবের এডিজিপি, প্রমোদ বানের নেতৃত্বে চলে এই গোটা এনকাউন্টার অভিযান।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার চিচা ভক্তনা গ্রামে পুলিশ ও গ্যাংস্টারদের মধ্যেকার এনকাউন্টার শেষ হয়েছে। এই এনকাউন্টারে দুই গ্যাংস্টারকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ওই দুই গ্যাংস্টার সিধু মুসওয়ালা হত্যা মামলার সাথে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

তাদের নাম জগরূপ রূপা এবং মনপ্রীত ওরফে মনু খুসা। এই এনকাউন্টারে তিন পুলিশকর্মী, তিন জন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি একে-৪৭ ও একটি পিস্তল। দু’জনে গ্রামের পুরনো হাভেলিতে লুকিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে গুলিবৃষ্টি করে।

পঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এদিন সকালে পঞ্জাব পুলিশের অ্যান্টি গ্যাংস্টার টাস্ক ফোর্সের শীর্ষ আধিকারিকরা জানতে পারেন, অমৃতসর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরের বাখনা গ্রামের একটি বাড়িতে ডেরা বেঁধেছে দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার জগরুপ সিং রোপা ও মনপ্রীত সিং ওরফে মান্নু কুসা।

গত ২৯ মে পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসাওয়ালার উপরে প্রাণঘাতী হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল মান্নু কুসা। ওই কুখ্যাত দুষ্কৃতীই একে-৪৭ রাইফেল দিয়ে ২৮ বছর বয়সী গায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে বাখনা গ্রাম ঘিরে ফেলে পঞ্জাব পুলিশের বিশাল বাহিনী।

অভিযুক্ত জগরুপ সিং রোপা ও মান্নু কসাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে পুলিশের উপরে গুলি চালাতে শুরু করে দুই গ্যাংস্টার। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। টানা চার ঘন্টা ধরে গুলির লড়াই চলার পরে প্রথমে  জগরুপ সিং রোপাকে খতম করতে সক্ষম হয় পুলিশ। বিকেল চারটে নাগাদ মনপ্রীত সিংকেও নিকেশ করা হয়।