অবশেষে অগ্নিবীরদের জন্য বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

দেশজুড়ে অগ্নিপথ বিরোধিতার মাঝে অগ্নিবীরদের জন্য চাকরিতে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। ট্যুইটে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং অসম রাইফেলসে অগ্নিবীরদের নিয়োগের জন্য বয়সের নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমায় ৩ বছর ছাড় দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এছাড়াও, অগ্নিবীরদের প্রথম ব্যাচের জন্য বয়সের নির্ধারিত ঊর্ধ্বসীমা ৫ বছরের জন্য শিথিল করা হয়েছে।

 

এদিকে আধাসামরিক বাহিনীর এক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী বেশিরভাগই অসামরিক দায়িত্বে রয়েছে। অগ্নিবীররা যোগদানের সময় নতুন করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। “আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের ১১ মাস বা তারও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অগ্নিবীরদের অসামরিক দায়িত্বের সেই এসওপিগুলিতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কিন্তু শারীরিক ফিটনেস, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং শৃঙ্খলা যা তারা শিখেই আসবে অগ্নিবীর প্রশিক্ষণের পরে, তাতে অতিরিক্ত সুবিধা হবে

উল্লেখ্য, অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পের বিভিন্ন শর্তের বিরোধিতায়, বিহারে ৬টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বখতিয়ারপুর থেকে কুলহারিয়ায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রেন। স্টেশন থেকে শুরু করে বাস- ব্যাপক ভাঙচুর চালায় চাকরিপ্রার্থীরা। বিহারে বিজেপির শীর্ষ নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। সাসারামে বিজেপি পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেনার চাকরিপ্রার্থীরা। উত্তরপ্রদেশের বালিয়াতেও ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খোদ প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে বাস ভাঙচুর করে চাকরিপ্রার্থীরা, তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদেও ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা ট্রেন জ্বালিয়ে দেয়। রাজস্থানের ভরতপুরে উপড়ে ফেলা হয় রেল লাইন। সেকেন্দ্রাবাদে পুলিশের গুলিতে এক চাকরিপ্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বিহারের লখিসরাইয়ে এক ট্রেন যাত্রী অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন । রাস্তায় ইট-পাথরবৃষ্টি। বিপর্যস্ত জনজীবন। অগ্নিপথের আঁচ বাংলাতেও।