সম্প্রতি নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে, জল্পনা চলছে মহারাষ্ট্র সরকার নিয়ে। মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের মুখে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আর বেশি দিন এইভাবে সরকার ধরে রাখতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। আচমকাই মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের চালচলনে বদলে ঝড় উঠে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো আগাড়ী সরকারের পতন ঘটবে এবং ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। একনাথ শিন্ডে সহ একাধিক বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে চিন্তায় উদ্ধব ঠাকরে সরকার। এর আগে এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন যে তিনি ইস্তফা দিতে তৈরি। তবে মধ্যরাতে তিনি আবার গর্জে উঠলেন। বললেন, বিজেপিই তাঁর দল এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে শেষ করে দিতে চাইছে।
গতকাল গভীর রাতে উদ্ধব ঠাকরে ভার্চুয়াল বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিবসেনাকে শেষ করে দিতে চাইছে বিজেপি। এছাড়া নিজের দলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদেরও একহাত নিয়ে তিনি বলেন, যাদের বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই তাঁরাই আসলে শিবসেনাকে শেষ করে দিতে চাইছেন। যদিও অনেক বিধায়ক আবার মনে করছেন যে এনসিপি এবং কংগ্রেস শিবসেনাকে শেষ করে দিতে চাইছে। তাই তারা বিজেপিতে যেতে চান। কিন্তু আসল সত্যিটা অন্যই। এক্ষেত্রে তাঁর নিশানায় সরাসরি রয়েছে গেরুয়া শিবির। উদ্ধবের কড়া হুঁশিয়ারি, হিন্দু ভোট ভাগ হতে দেবে না শিবসেনা।
কয়েক দিন আগেই একটি ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছিলেন, বিদ্রোহী বিধায়করা যদি তাঁকে না চান, তাহলে তিনি ইস্তফা দিতে রাজি। তবে তাঁকে এসে তাদের সে কথা বলতে হবে। তিনি ইস্তফা পত্র তৈরি রেখেছেন। বললেই তিনি পদ ছেড়ে দেবেন। তবে সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কথায়, যারা তাদের সম্মুখীন হতে চান, তাঁদেক মুম্বই আসতে হবে। সাহস থাকলে সামনাসামনি লড়াই করুক তারা। করলে বুঝতে পারবে যে কে জিতবে। রাউতের আত্মবিশ্বাস, রাস্তায় নেমে লড়াই হলেও জিতবে শিবসেনাই। এই প্রেক্ষিতে তাঁর মত, একনাথ শিন্ডেরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।