অবশেষে ১৭ তম দিনে অনশন প্রত্যাহার করলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা

অনাসনকারী সন্দীপ মন্ডল কে কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করেন। পাশাপাশি আগামীকাল রাজ্য জুড়ে যে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল তাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মতলায় ফিরে এসে নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর এই কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নেতা দেবাশিস হালদার।

মূলত নির্যাতিতার বাবা মায়ের আর্জি ও সাধারণ মানুষের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়েই এই অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’-এ বসেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও চলছিল ভুখ হরতাল। ১০ দফা দাবি আদায়ে অনড় ছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সোমবার অনশন প্রত্যাহার করলেন আন্দোলনকারীরা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে টানা ২ ঘন্টা বৈঠক করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। বৈঠকে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের অপসারণের দাবি মুখ্যমন্ত্রী শুরুতেই নাকচ করে দেন। তাকে ‘অভিযুক্ত’ বলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতবিরোধও হয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালে যে ৫৯ জন ছাত্রকে বহিস্কার করা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এছাড়া টাস্ক ফোর্স গঠন নিয়েও মতবিরোধ হয় বৈঠকে।