পার্থর চট্টোপাধ্যায়ের পর কষ্টে ‘কেষ্ট’। ‘কেষ্ট’কে হেফাজতে নিতে তৎপর সিবিআই। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা নাগাদ আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে।
তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। ১৪ দিনের হেফাজত চেয়েছিল তাঁরা। শেষে আদালত সিবিআইয়ের পক্ষেই রায় দিয়েছে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২০ আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। রাতেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হচ্ছে তৃণমূল নেতাকে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে তিক্ততা এখনও কাটেনি, এরই মাঝে আবার অনুব্রত মণ্ডল। ১০ বার তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু মাত্র ১ বার সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তিনি। লাগাতার অসুস্থতার কথা বলে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন হাজিরা।
সিবিআই যে আর ধৈর্য রাখবে না তার হালকা একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল। সেই মতোই রাখির দিন সকালেই সোজা বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁরা।
গরু পাচার মামলায় তথ্য গোপনের অভিযোগেই মূলত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আদালত তাঁর মামলায় ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল।
এদিকে তৃণমূল স্পষ্ট করেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি। মানুষকে ঠকালে দলের সমর্থন নয়। নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মানুষই তৃণমূলের কাছে সবথেকে বড় সম্পদ।
অন্য কোনও অর্থনৈতিক সম্পত্তি তাঁরা সম্পদ বলে মনে করেন না। নাম না করলেও অনুব্রত মণ্ডল ইস্যুতেই যে এই কথা বলা হল তা বুঝতে পারেননি এমন কেউ নেই। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
সেই বিষয়ে এই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই কিছুই জানান হয়নি। একটাই কথা বলা হয়েছে, যথা সময়ে জানান হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ৬ দিন সময় লেগেছিল। এবারও কি তাই লাগবে?