প্লাস্টিকের জারে সাপ ভরে সোজা হাসপাতালে

প্লাস্টিকের জারে সাপ ভরে সোজা হাসপাতালে..!!সচেতনতার অভাবে এমনই কাণ্ড ঘটালেন গৃহবধূর পরিবারের লোকজন।বাড়ির কাজ করছিলো গৃহবধূ। হঠাৎই পায়ে ছোবল মারে সাপ।ভয়ে চিৎকার করে ওঠে সেই গৃহবধূ। সাপ কামড়ানোর কথা জানায় সকলকে। কথা শুনে হৈ হট্টোগোল লেগে যায় বাড়িতে। তৎক্ষণাৎ সেই সাপকে ধরে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির মালবাজার থানার অন্তর্গত ক্রান্তি বক্লের গঙ্গা দেবী সংলগ্ন শান্তি পাড়া এলাকায়।সেই সাপ দেখে ডাক্তার হতবাক হয়ে জানতে চান কি জন্য তারা এমন কাজ করেছেন।

এমন কাজের জন্য হাসপাতালে বড়সড় দূর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। উত্তরে গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা জানান “আমরা জানি না ডাক্তারবাবু কি সাপ কামড়েছে সেই কারণেই আপনার কাছে নিয়ে এসেছি।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে আসে, জলপাইগুড়ির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রিন জলপাইগুড়ি সদস্যরা। তারা সাপ ধরতে পটু। সদস্যরা এসে সেই সাপটিকে নিজেদের আওতায় নিয়ে নেয়। সাপের কামড়ে আক্রান্ত মহিলার চিকিৎসা হচ্ছে হাসপাতালে। আপাতত তিনি সুস্থ বলে জানা গেছে।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য অঙ্কুর দাস জানান, গ্রামগঞ্জে এখনও রয়েছে সচেতনতার অভাব। আর সেই কারণেই এরকম কাজ করে থাকে বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের মানুষ। সাপকে চিহ্নিত করতেই এই কাজ করেন তারা। এই কারণে,অনেক সময় মৃত্যু হয় সাপের। এই বিষয় নিয়ে যদি সরকার একটু সচেতন বার্তা পৌঁছে দেয় গ্রামগঞ্জে তাহলে এইরকম ঘটনা ঘটবে না।এই সাপের বিষয় পরিবেশ প্রেমিক তথা বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীর কাছে জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, এইসব অতটা বিষধর নয়। এই সাপকে চলিত ভাষায় বলা হয় ” পঙ্খিরাজ সাপ”। সাপটি নির্বিষ সাপ। সাপের নাম “ঘোড়ানাগ” যাকে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় কমন ট্রিঙ্কেট।