বিগত দু মাসের অস্বস্তিকর গরম থেকে রেহাই দিয়ে বৃষ্টির আগমন ঘটেছে বঙ্গে। গত শনিবার বিকেলের পর থেকে কলকাতা দেখেছিল কালবৈশাখী। অনেক দিনের অপেক্ষার পর দক্ষিণবঙ্গে জেলার মানুষ বৃষ্টির দেখা পেয়েছিল। শনি ও রবিবারের মতো কালবৈশাখীর দেখা মিলতে পারে বলে বড় আপডেট দিয়েছে কলকাতার হাওয়া অফিস। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় সকালে খানিক বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, একটু রাত বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা বাড়বে।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিনই প্রায় হালকা একটা ঠান্ডা হাওয়াও অনুভূত হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই অনুমান করা হচ্ছে যে, সন্ধ্যার পর থেকে আবার ঝড়, বৃষ্টি দেখতে চলেছে রাজ্যের মানুষ। অন্যদিকে, আন্দামান সাগরের দক্ষিণে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ৬ মে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। সেটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হবে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে আসার পর অভিমুখ উত্তর-উত্তরপূর্বমুখী হতে পারে। তখনই শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, কালবৈশাখীর পাশাপাশি ৯ মে থেকে ১১ মের মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তবে পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপের প্রভাব কতটা পড়বে, তা এখনই বলা সম্ভব হবে না বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। আপাতত অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল থেকে বাংলাদেশ উপকূল পর্যন্ত অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।