বহুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।বিগত প্রায় এক মাস ধরে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। সদ্য ধরা পড়েছে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, ডায়বেটিস এবং ফুসফুসের রোগ। সেই কারণে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। এখন জানা গেল তিনি সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত। তাই তাঁকে নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি হচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পরিচালকের চেতনার মাত্রা কমছে আস্তে আস্তে। আপাতত তিনি ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণেই আছেন। প্রসঙ্গত, যে কোনও অঙ্গের সংক্রমণ যখন রক্তে প্রবেশ করে, তখন তাকে বলা হয় সেপ্টিসেমিয়া।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তরুণ মজুমদারের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি আছে। এছাড়া ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর তাঁকে খাওয়ানো হচ্ছে। আচ্ছন্নগ্রস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর বিশেষভাবেই খেয়াল রাখা হচ্ছে। চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু এবং মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল তাঁর চিকিৎসায় রয়েছে। এখন পুরোপুরি তাদের পর্যবেক্ষণে আছেন খ্যাতনামা পরিচালক।
তরুণ মজুমদারের বিখ্যাত কিছু ছবির মধ্যে আছে ‘কাঁচের স্বর্গ’ (১৯৬২), বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), দাদার কীর্তি (১৯৮০)। তাঁর পরিচালনায় দর্শক পেয়েছে ‘আলো’, ভালোবাসা ভালোবাসা’র মতো ছায়াছবিও। এর মধ্যে ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবির জন্য তিনি প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পান। এছাড়াও চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ১৯৯০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়।