বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকার এক কিশোরীকে সাত-আট বছর ধরে ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। কখনও বাঁশের খুঁটিতে, আবার কখনও দড়ি, গামছা, ওড়না দিয়ে বেঁধে রাখতে হয় তাকে। ঘরের চার দেওয়াল ছাড়া বাড়ির বাইরে পা-ই রাখে না সে।পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, বেঁধে না-রাখলে যেখানে সেখানে চলে যায় সে।
বাড়িতে অর্থসঙ্কট রয়েছে। তাই কিশোরীর চিকিৎসাও করাতে পারেননি তার পরিবার। কিশোরীর বাবা ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান। আর তাঁর মা বাড়িতেই থাকেন। মেয়েকে এই অবস্থায় ফেলে বাইরে বেরোতে পারেন না তিনিও। দিনরাত মেয়েকে বেঁধে রাখতে খুব কষ্ট হয় তাদের, কিন্তু কিছু করারও নেই।
মেয়ের চিকিৎসার জন্য সরকারি সাহায্যের পথ চেয়ে বসে রয়েছেন নাবালিকার বাবা-মা। দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেন, বিএমওএইচ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে কিশোরীকে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দিয়ে মানবিক প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা করে যাতে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করব। তাদের কোন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, সেটাও যাতে হয় তারও ব্যবস্থা করে দেব। সব সময় ব্লক প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।