গরুপাচারকাণ্ডে এবার সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)সঙ্গে রফা করে দেওয়ার নাম করে BSF-এর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সুদীপ্ত রায় চৌধুরী। তদন্তকারীদের নজরে ২ জন বিএসএফ কর্তা ও ২ জন IRS (Indian revenue service) অফিসাররা। ED-র নাম করে শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই টাকা নিত তা নয়। রোজভ্যালিকাণ্ডের পরই গরুপাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় সুদীপ্তর।
সূত্রের খবর জেরায় সুদীপ্ত জানিয়েছে, ওই টাকার কিছুটা নিয়ে বাকিটা দিয়ে দিতেন। কিন্তু কাদের? তা নিয়ে পরিস্কার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এবারে প্রশ্ন কেন এত টাকা নিয়েছিল সুদীপ্ত? কোথায় গেল এত টাকা?
সূত্রের খবর, সুদীপ্তর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন তথ্য জাল ও সুপার ইমপোজ করা হয়েছে। আর যে বা যারা এই নেপথ্যে আছে তারা এই ধরনের জাল নথি দিয়ে ভবিষ্যতে তোলাবাজিও চালাতে পারে বলে মনে করছে ইডি।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে প্রথম প্রকাশ্যে আসে রোডভ্যালি কেলেঙ্কারি। ২০১৫ সালে গ্রেফতার হন সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। আর শুধু সংস্থার কর্তাব্যক্তিরাই নয়, কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরও। গ্রেফতার হন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পালের মত নেতারা। ইডির তথ্য অনুযায়ী বাজার থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৫২০ কোটি টাকা তুলেছিল রোজভ্যালি।
এবার সেই কাণ্ডেই সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাহলে কী সর্ষের মধ্যেই ভূত? সরকারি আধিকারিকদের নাম উঠে সন্দেহের তীর সেদিকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।