সম্প্রতি এসটিএফের জালে ধরা দুই আল কায়দা জঙ্গিকে জেরায় প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য

বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে জঙ্গি তৎপরতা। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের আগে ও পরে এর তৎপরতা আরো বেশি করে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। এই প্রেক্ষিতে স্বাধীনতা দিবসের পরপরই কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে গ্রেফতার করা হল দুই আল কায়দা জঙ্গিকে।

রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে তারা। ধৃতরা হল আব্দুর রকিব সরকার ওরফে হাবিবুল্লা ওরফে হারিফ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা সে। অপর ধৃত কাজি আহসান উল্লাহ ওরফে হাসান। সে হুগলির আরামবাগের বাসিন্দা। এই রকিবকে জেরা করেই ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

এসটিএফ সূত্রে খবর, রকিব স্বীকার করেছে আল কায়দার ভারতীয় উপমহাদেশের শাখার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল সে। তার ওপরই দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকানোর এবং প্রত্যেকের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত সে কতজনকে দেশে ঢুকিয়েছে?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে রাজ্য পুলিশ। কেউ ভারতে বা এই রাজ্যে ঢুকে থাকলে কোথায় যেতে পারে তার জন্য তদন্তে আরও গতি বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দারা এও জানতে পেরেছেন যে, রকিব ভুয়ো নথি তৈরি করত এবং বাইরে থেকে আনা অন্য জঙ্গিদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করত।

এছাড়া ‘দলে’ কাদের নেওয়া হবে সেই দিকেও নজর দিত সে। অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের ‘ব্রেন ওয়াশ’ করে কাজে লাগানোই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল। দু’জনকে জেরা করে মোট ১৭ জনের নাম সামনে এসেছে বলেই খবর।

তবে শুধু বাংলা নয়, বাংলা ছাড়াও আরো একাধিক ভাষায় নানা উস্কানিমূলক মন্তব্য এবং আচরণ বিধি প্রকাশ করতে শুরু করেছে এই জঙ্গি সংগঠনটি। সম্প্রতি একটি অডিও বার্তায়তেও সংগঠনটি সদস্যদের কার্যকলাপের পন্থা নির্দিষ্ট করে প্রকাশ করা হয়েছে।

এই সমস্ত সূত্র ধরেই সম্প্রতি তদন্তে নেমেছিল এসটিএফ। তারপরেই বুধবার সন্ধ্যা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা শাসনে শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। আর সেখান থেকেই হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই দুই আল কায়দা জঙ্গিকে।