রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ কাণ্ডে দুর্নীতিতে যুক্ত হিসেবে সদ্য তারা গ্রেফতার করেছে প্রমোটার অয়ন শীলকে। তাঁকে জেরা করার পর বিস্ফোরক কিছু তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।
আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, ৬০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অন্তত ৫ হাজার জনকে বেআইনিভাবে টাকার বিনিময় চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁর এও বক্তব্য, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে আছে চাকরি দুর্নীতির চক্র। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বড় মন্তব্য করে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে শিক্ষা দুর্নীতির সোনার খনিতে প্রবেশ করেছেন তারা। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের। আর তাদের মধ্যে ‘সেতু’ ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
ইডি এটাও জানিয়েছে যে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির অন্য তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন খতিয়ে দেখে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে জানতে পেরেছে তারা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের স্পষ্ট বক্তব্য, দুর্নীতির টাকা অয়ন শীলের হাত থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত। এছাড়া কুন্তল ঘোষের পাশাপাশি আরও অনেক এজেন্ট এর মধ্যে জড়িয়ে যারা অয়ন এবং পার্থর মধ্যে যোগসাজস রাখার কাজ করতেন।