কথা উঠেছিল আগেই, কতটা কার্যকরী তা নিয়ে। বৈঠকও গঠন করা হয়েছিল এই নিয়ে। এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল গাইডলাইন মেনে। টিকা প্রদানের পাশাপাশি করানো অতিমারী থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে চালু হয়েছিল প্লাজমা থেরাপি কিন্তু এবার তা কাজে আসছে না। এই চিকিৎসা পদ্ধতিটিকে ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ চূড়ান্ত আকার নেওয়ার সময় থেকেই প্লাজমা থেরাপিতে জোর বাড়ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করানো ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই থেরাপি ব্যবহার হয়েছে অনেকবার। কিন্তু করোনা চিকিৎসায় কার্যকর হচ্ছে না প্লাজমা থেরাপি। প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করে করোনায় আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি রোখা যাচ্ছে না বা মৃত্যু বন্ধ করা যাচ্ছে না।
জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে এই পদ্ধতি ছিল পরীক্ষামূলক। তাছাড়া এই পদ্ধতি রোগের সংক্রমণ কমাতে কার্যকরি নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাই চিকিৎসা থেকে এই পদ্ধতিতে বাদ দেওয়া হল। আইসিএমআর লক্ষ্য করেছে, করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ে প্লাজমা থেরাপি কিছুটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে তা আদতে কোন কাজ দিচ্ছে না। অর্থাৎ দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্লাজমা থেরাপি করোনাভাইরাস চিকিৎসায় আশানুরূপ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। মাঝারি এবং মৃদু উপসর্গের রোগীদের ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার হলেও যাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই থেরাপি কাজে লাগছে না।