এই মুহূর্তে শোকার্ত গোটা দেশ, মাঝে গোটা একটা দিন কেটে গেলেও অনেকে এখনো মেনে নিতেই পারছে না তিনি যে সত্যি তিনি আর নেই। কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে-র অকাল প্রয়াণে শোকে বিহ্বল গোটা দেশ। কলকাতায় শেষবার শো করেছেন তিনি, হোটেলে ফেরার পরই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে গায়কের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে তাঁর। কোনও অস্বাভাবিকতা নেই এর মধ্যে। কিন্তু এর পাশাপাশি আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে কেকে’র শারীরিক অবস্থা নিয়ে।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও গায়কের পরিবার সূত্রের খবর, আগে থেকে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল কেকে’র। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা নিয়েও বেশি কয়েক দিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। গায়কের পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, কিছুদিন ধরে ঘাড়ের পিছনে ও তলপেটে ব্যাথা ছিল তাঁর, কিছু সেইভাবে কিছুই বোঝা যায়নি যে এটি কতটা মারাত্মক হতে পারে। যদিও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে ৭২ ঘণ্টা পর৷ তারপরেই বোঝা যাবে এই আকস্মিক মৃত্যুর আসল কারণ। তবে এগুলো যে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে তা বলাই বাহুল্য। প্রশ্ন এখনও থাকছে যে, গায়ক শো করতে করতে নিজে কি কিছু বুঝতে পেরেছিলেন? এর উত্তর অবশ্য আর কোনও দিন মিলবে না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা নাগাদ তিনি তাঁর শো শুরু করেন। ততক্ষণে প্রায় ঠাসা ভিড় হয়ে গিয়েছে নজরুল মঞ্চে। কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল অল্প সময়ের মধ্যে। ঘণ্টা দেড়েক ঠিক মতো শো করলেও তারপর থেকে খানিক অসুস্থ হতে শুরু করেন গায়ক। এমনটাই সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। প্রথম প্রথম তিনি মঞ্চে রীতিমতো দাপাচ্ছিলেন, নেচে নেচে গান করছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর চলন-গমনে পরিবর্তন দেখা যায়। বারবার ঘাম মুছতে শুরু করেন কেকে, জল খান, স্পটলাইট নেভাতে বলেন। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে মাঝে কিছুক্ষণ শো বন্ধ রেখে বিশ্রাম নিতে যান তিনি। হোটেলে ফিরে কয়েক মিনিটেই সব শেষ।