উঠেছিল রাজ্য জুড়ে। কারণ হলো চলতি মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল এক আগন্তুক। ধৃত হাফিজুলকে গ্রেফতার করার পর আগেই তার থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল।
জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢোকার আগে একাধিক বার রেইকি করেছিল সে। এমনকি বাড়ির সব তথ্য জানতে আশেপাশের বাচ্চাদের চকোলেট, কোল্ড ড্রিংক্স পর্যন্ত খাইয়েছিল হাফিজুল! এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ছুবি তুলে বিদেশে পাঠিয়েছিল সে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে অনুপ্রবেশকারী হাফিজুল সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য জমা দিয়েছে তদন্তকারী দল। জানান হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বেশ কয়েক বার রেইকি করে এসেছিল হাফিজুল। এলাকার পরিচিতি জানতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল সে।
যে কারণে লজেন্স থেকে শুরু করে বিস্কুট বিলি করেছিল বাচ্চাদের মধ্যে। এছাড়াও হাফিজুলের কাছ থেকে ১১ টি সিম কার্ড উদ্ধার করে তদন্তকারী দল। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশে একাধিকবার ফোনও করেছিল সে।
তারা আরও জানাচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির চারপাশ অন্তত সাত-আটবার রেইকি করা হয়েছিল। রাতভর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঘাপটি মেরে বসে থাকার দিন দশেক আগেও একবার সেই এলাকা ঘুরে গিয়েছিল সে।
তবে শুধু ভিন্ন রাজ্য বা দেশে ফোন নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ছবি তুলে সে হোয়াটস অ্যাপে পর্যন্ত কাউকে পাঠিয়েছিল। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, আগের বছর দুর্গা পুজোর সময়ে নদী পেরিয়ে সে বাংলাদেশ গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
কাদের সঙ্গে দেখা করতে সে বিদেশে গিয়েছিল, মমতার বাড়ির তথ্য, ছবি সে আদতে কাদের পাঠাল, আর এত নিরাপত্তা ভেদ করে সে কী ভাবে এই সমস্ত কাজ করল, তা স্পষ্টত এখনও জানা যায়নি। তাই তাজ্জব হওয়ায় কারণ এখনও রয়ে গিয়েছে।