অবশেষে সমাপ্তি হলো দীর্ঘ অশান্তির। উপাচার্য বনাম ছাত্র-ছাত্রী লড়াই এর অবসান। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ছাত্র আন্দলনের জেরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তিন ছাত্র-ছাত্রীকে অনৈতিক ভাবে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে এবং তারপর সেই সাসপেনসনের মেয়াদ বাড়তে বাড়তে পৌঁছায় নয় মাসে, যদিও সেখানেই থেমে থাকেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার হাইকোর্টের রায়ে পুনরায় নিজের নিজের ক্লাসে ফিরছে বিশ্বভারতী থেকে বহিষ্কৃত তিন ছাত্র-ছাত্রী, সোমনাথ সৌ, রূপা চক্রবর্তী ও ফাল্গুনী পান। চলতি বছর আগস্ট মাসে ফের ওই তিন ছাত্র ছাত্রীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কারের নোটিশ দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও উপাচার্য ঘেরাও কর্মসূচি শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং তাঁদেরকে সমর্থন জানিয়ে একে একে রাস্তায় নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। স্লোগান ওঠে উপাচার্যের পদত্যাগের। যদিও তাতে থেমে থাকেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাঁরাও এই অবস্থান বিক্ষোভ ও উপাচার্য ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্টে। শুরু হয় আইনি লড়াই। যদিও সেই লড়াইএ দু’ দফা রায় দানের পরে বুধবার মুখ পোড়ে উপাচার্যের। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তার রায় দানে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই তিন বহিষ্কৃত ছাত্র ছাত্রীকে পুনরায় ক্লাসে ফেরাতে হবে।