চা বাগানের পাতা খাঁচায় বন্দি হয়েও পালিয়ে গেল চিতাবাঘ

চা বাগানে পাতা খাঁচায় বন্দি হয়েও পালিয়ে গেল চিতাবাঘ। সেই চিতাবাঘের আক্রমনে আহত হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এক বানারহাট ব্লকের আমবাড়ি চা বাগান এলাকায়। জানা গিয়েছে বাগানে চিতাবাঘের উপস্থিতি বুঝতে পেরে চা বাগানে আতঙ্ক ছড়ায়। সেকারনে বাগানে খাঁচা পাতার দাবি জোরালো হয়। স্থানীয়দের দাবি মেনে সপ্তাহখানেক আগে বনদপ্তরের বিন্নাগুরি স্কোয়ার্ড এর পক্ষ থেকে খাঁচা পাতা হয়েছিল চা বাগানের ১৬/১৭ ( ১৬ বাই ১৭ ) নম্বর সেকসনে।

প্রতিদিন রাতে টোপ হিসেবে ওই খাঁচায় ছাগল রাখা হতো। সোমবার সকালে সেই খাঁচায় ধরা পড়ে একটি চিতাবাঘ। চিতাবাঘ দেখতে প্রচুর উৎসাহী মানুষ খাঁচার সামনে জড়ো হন। হঠাৎ কমজোরি খাঁচার দরজা ভেঙে চিতাবাঘটি বাইরে বেড়িয়ে আসে। এতে সেখানে উপস্থিত সকলেই প্রাণ হাতে নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। চিতাবাঘটি পালানোর সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বাগানের সর্দার চঞ্চল দাসকে জখম করে জঙ্গলে চলে যায়। আনুমানিক ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তিকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ সংবাদ মাধ্যমে জানান, ,খাঁচাটি দুর্বল ছিল না। খাঁচার গেটটি ঠিকঠাক লাগেনি চিতাবাঘ বন্দী হবার পর। সেকারনে সেটা খুলে গিয়েছে। এই মুহুর্তে খাঁচাটিকে মেরামত করা হচ্ছে এবং আবার বসানো হবে।