গত এক মাস কেটে গেলো যুদ্ধ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই লড়াই থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এর মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়েছে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। উলটে ইউক্রেনের ওপর হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে পুতিন বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন কার্যত স্বীকার করে নিল যে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা খুবই কঠিন! তাহলে কি হার স্বীকার করে নিল জেলেনস্কি প্রশাসন, উঠছে প্রশ্ন।
ইউক্রেনের তরফ থেকে জানান হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান সূত্র বের করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। যুদ্ধের এক মাস কেটে যাওয়ার পরও রাশিয়া আগের মতোই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হলেও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। ইউক্রেনের এই বক্তব্য থেকে মনে হতেই পারে যে তারা হয়তো রাশিয়ার কাছে মাথানত করছে কিন্তু বিষয়টি ঠিক তেমন নয়। কারণ ইউক্রেন স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাশিয়া যেমন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ইউক্রেনও তার পাল্টা আক্রমণ করেই যাবে। তারাও নিজেদের দাবি থেকে এক চুল নড়বে না। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনে বসবাসকারী রুশ নাগরিকদের বৈষম্যের কথা বলছে তা মিথ্যে। তবে ইউক্রেনের ভাষা শুধু ইউক্রেনীয় হবে এমনটাই পরিষ্কার করে দেন তিনি।
ইউক্রেনের একাধিক শহর এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপ। খারকিভ, কিয়েভ, মারিউপোলের মতো শহর প্রায় নিশ্চিহ্ন। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়, অনেকে ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন আলাদা করে আবার পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, আগামী দিকে পরিস্থিতি কী হতে চলেছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের যে আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এই মুহূর্তে পরমাণু হামলার কোনও পরিকল্পনা রাশিয়ার নেই। তবে যেদিন মনে হবে যে তাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে সেদিন পরমাণু হামলা চালাতে পিছপা হবে না ক্রেমলিন।