টেন্ডার হয়েও থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ, রাস্তা সংস্কার হয়নি দীর্ঘ সময়, এভাবেই চলে গৌরীহাট, পাতকাটা সহ আশপাশের বসবাসকারী আমজনতার জীবনযাত্রা।জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৌরী হাট, একদিকে যেমন জলপাইগুড়ির প্রাচীন হাট গুলোর অন্যতম, এর পাশাপাশি এই অঞ্চলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে সাধারন মানুষের যাতায়াত এই গৌরী হাট দিয়েই। অথচ এই অঞ্চলের সঙ্গে অন্যান্য গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র সেতুটিও যেমন জরাজীর্ণ ঠিক তেমনই চলাচলের রাস্তার অবস্থা।
সদর ব্লকের অধীন অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং গৌরী হাট উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক সঞ্জীত কর্মকার এই প্রসঙ্গে বলেন, সেতুর কাজ জমি জটে আটকে ছিলো,খুব শীঘ্রই এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে দেবে জেলা পরিষদ। যদিও ভগ্ন সেতু এবং হাড় জীর্ণ রাস্তার দ্রুত সংস্কারের আসা রাখেন ডাঙ্গা পাড়ায় যুবক সৈকত ঝাঁ। তবে রাস্তা সংস্কার করা নিয়ে এলাকার এক শ্রেণির দালালদের যোগসাজশ দেখছেন এলাকার বিজেপি নেতা অখিল রায়, তিনি বলেন, এখন টিএমসির জমানা বেশি বললে লাঠির বাড়ি খেতে হবে, তবে এই পথ দিয়ে ডাঙ্গাপাড়া,পাদ্রিকুঠি, রংধামালী, অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন গৌরীহাট সহ বেলাকোবা, বারোপটিয়া, পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা সহ বহুু অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত।
অপরদিক্ পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, প্রধান হেমব্রম বলেন, জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু হয়েছিলো, তবে হয়তো অর্থের যোগান কমে যাওয়ায় মাঝ পথে কাজ থেমে যায় সেতু নির্মাণের।