দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মিলল নিয়োগের প্রতিশ্রুতি

আজ রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ইদ। এই খুশির ইদে মিলল আশার আলো৷ মঙ্গলবার সকালে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন৷ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দিলেন নিয়োগের আশ্বাস৷ দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মেধা তালিকায় নাম রয়েছে৷ অথচ মেলেনি নিয়োগ৷ এই অভিযোগেই দীর্ঘ দিন ধরে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তি ও মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন চালাচ্ছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। ইদের সকালেও অন্যথা হয়নি। একই মাঝে আচমকাই ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়ার ফোন থেকে আসে একটি কল৷ ফোনের ওপাড়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী৷ আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। শুনলেন তাঁদের দাবিদাওয়া। সবকিছু শোনার পর দ্রুত তাঁদের নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন বলেই খবর।

এ প্রসঙ্গে এক আন্দোলনকারী বলেন, “এদিন সকালেও আন্দোলন চলছিল৷ হঠাৎ পুলিশ এসে বলল, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। উনি সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি দেখবেন৷ আমাদের বিষয়টা তাঁর মাথায় রয়েছে৷ শিক্ষা দফতরের সঙ্গেও কথা বলবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই আশ্বাস আসতেই যেন স্বস্তি পান চাকরিপ্রার্থীরা। তবে যতক্ষণ না নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

২০১৬ সালে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাঁরা৷ কিন্তু আজ পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে আসেনি। যোগ্যতা প্রমাণের পরও বঞ্চিত ২৫০০ হাজার প্রার্থী। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে একাধিকবার পথে নেমেছেন তাঁরা। এমনকী শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে একাধিকবার স্মারকলিপি দিতে গিয়েছেন তাঁরা। সেখানে পুলিশের বাধার মুখেও পড়েছেন। এমকী তাদেরকে আটকও করা হয়েছে। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মেধাতালিকাভুক্ত বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ৷ অবশেষে মঙ্গলবার মিলল আশ্বাস৷ পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷