বাড়ানো হচ্ছে একাদশ শ্রেণীর ভর্তির আসন

গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারই রাজ্যে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। যথারীতি নির্ধারিত সময়েই প্রকাশ করা হয়েছে ফলাফল। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। পাশ করেছে মোট ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরেই বড় ঘোষণা করে দিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। জানান হল, নয়া শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বাড়তে চলেছে আসন সংখ্যা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবে।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা ২৭৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করা হচ্ছে। হিসেব করে দেখতে গেলে প্রতিটি স্কুলে সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ করে বাড়ছে। এই ঘোষণার পর অধিকাংশ অভিভাবক খুশি হয়েছেন তা বলাই যায়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, পড়ুয়ারা অনেক সহজে যে কোনও স্কুলেই ভর্তি হতে পারবে নয়া শিক্ষাবর্ষে। তাদের জন্য স্কুলগুলির ‘অপশন’ অনেক বেড়ে গেল আগের থেকে।

প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় যুগ্নভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে  দু’জন পরীক্ষার্থী। বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের অর্ণব ঘড়াই এবং বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌনক মণ্ডল। তাঁদের উভয়েরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী। ৬৯২ নম্বর পেয়ে যুগ্ম দ্বিতীয় মালদহের কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের রৌনক মণ্ডল। ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন আসানসোলের অনন্যা দাশগুপ্ত ও পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান।  চতুর্থ হয়েছেন চার জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। এবছর মোট পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ।