অন্ধকার জগৎ মানেই তার নাম আসবেই৷ অন্ধকার জগতের কুখ্যাত অপরাধী দাউদ ইব্রাহিমকে বাগে পেতে নয়া পদক্ষেপ ভারতের৷ মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলায় মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি শুরু করল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। একাধিক ডেরায় তল্লাশি চালানো হয়েছে৷ সূত্রের খবর, ইডির নজরে রয়েছে মহারাষ্ট্রের এক রাজনীতিবিদও৷ পাশাপাশি দাউদ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা মামলা রুজু করেছে এনআইএ৷
১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদ ইব্রাহিম হদিশ আজও মেলেনি৷ বহু চেষ্টার পরেও তাঁকে ভারতে ফেরানো সম্ভব হয়নি৷ অথচ তাঁর বিরুদ্ধে দেশে একাধিক মামলা চলছে৷ এবার আর্থিক তছরুপ মামলায় তৎপর হল ইডি৷ মুম্বই ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি জাগায় হানা দিয়েছে ইডি’র অফিসাররা৷ আর্থিক তছরুপ মামলায় দাউদের প্রয়াত বোন হাসিনা পার্কারের বাড়িতেও এদিন হানা দেন তাঁরা৷
চলতি মাসের শুরুতেই দাউদ ঘনিষ্ঠ আবু বকরকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা সংস্থা। ২৯ বছর তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। বকরকে হোজতে নেওয়ার পরেই দাউদের আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্তে তৎপর হয়ে ওঠে ইডি।
এদিকে সম্প্রতি পাঞ্জাবে ডি কোম্পানির অস্তিত্ব টের পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা মনে করছেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডে বসে পাক গুপ্তচার সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে যোগসাজশ করছে ডি কোম্পানি৷ ভারতে সন্ত্রাস চালানোই মূল লক্ষ্য তাদের৷ অন্যদিকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে অর্থ যোগাচ্ছে দাউদের অনুচররা৷ ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চে পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল শহর মুম্বই৷ বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৩টি বিস্ফোরণের ঘটানো হয়৷ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ২৫৭ জন৷ জখন হন ৭১৩ জন। এই হামলার মাথা ছিল দাউদ ইব্রাহিম। এই জঙ্গিহানায় শিহরিত হয়েছিল গোটা দেশ৷