রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল এই মুহূর্তে রয়েছে জেল হেফাজতে। গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজত থেকে আপাতত তাঁর ঠিকানা আসানসোল জেল৷
আদালতের নির্দেশে আগামী ১৪ দিন সেখানেই থাকতে হবে গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে৷ কিন্তু এর পর কোথায়? সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
কারণ ‘প্রভাবশালী’ অনুব্রতকে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পক্ষে সওয়াল করেছেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেক্ষেত্রে তাঁর ঠিকানা হতে পারে দিল্লির তিহাড় জেল!
গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হলেও পাচারের পাহাড়প্রমাণ টাকা কোথায় গেল, তা জানতে সামগ্রিক তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র হাতে।
এখনও পর্যন্ত গরু পাচার মামলায় সিবিআই যতটুকু তদন্ত করেছে তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট যে শুধুমাত্র বীরভূম জেলা থেকেই গরু পাচারে কোটি কোটি টাকা উঠে এসেছে। সিবিআই-এর সেই সূত্র ধরেই বিপুল টাকা উদ্ধারের খোঁজে নামতে চাইছে ইডি।
১৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের শেষে বুধবার জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে কেষ্টকে। এবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করলে অনুব্রতকে নিয়ে সোজা দিল্লি উড়ে যেতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
শুধু অনুব্রতই নন, তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যেতে চায় ইডি৷ সিবিআইয়ের মামলায় জামিন পাওয়ার পর গরু পাচার কাণ্ডের মূলচক্রী এনামুল হককেও দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা। এর পর সেখান থেকেই এনামুলকে গ্রেফতার করে তারা।
এনামুলের ঠিকানা হয় দিল্লির তিহাড় জেল। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলে আগামী দিনে তাঁরও ঠাঁই হতে পারে সেখানে৷ ইডি-র হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলেই হয়তো কেষ্টকে জেলে পাঠানো হবে৷
ইডির কাছে খবর রয়েছে, অনুব্রত ও সায়গলের পাশাপাশি গরু পাচারের টাকার লভ্যাংশের পৌঁছত আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে৷ তদন্তকারীদের দাবি, বীরভূমে লাল মাটি দিয়ে শুধু গরু পাচার করা হয়নি৷ জেলায় পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে এই জেলার উপর দিয়েই বেআইনি ভাবে পাথর আর বালি পাচারও করা হয়েছে। যার অন্যতম মাথা ছিলেন অনুব্রত ও তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল৷