পরতে পরতে মিলছে নতুন তথ্য, দ্রুত গতিতে চলছে তদন্ত। এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা৷ পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর সোনা-গয়না ও ২০টি মোবাইল৷ এছাড়াও অর্পিতার নামে ১২টি ভুয়ো সংস্থার খোঁজ মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই ওড়িশা ও তামিলনাড়ুর কয়েকটি প্রোডাকশন হাউস ও কয়েকজন মাঝারি মাপের অভিনেতাও এখন ইডি-র আতস কাঁচে।
এই দুই রাজ্যে প্রোডাকশন হাউসে অর্পিতা টাকা লগ্নি করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির দাবি, বেশ কিছু ‘শেল কোম্পানি’ তৈরি করেছিলেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা। তল্লাশির চালিয়ে নাকতলা ও তাঁর ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ১২টি ভুয়ো সংস্থার তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা৷
এর মধ্যে অন্তত ৬টি সংস্থায় অর্পিতার ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এছাড়াও এমন তিনটি সংস্থা রয়েছে যেগুলির অধিকর্তা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নিজে। ইডির হাতে আসা নথি অনুযায়ী, একটি সংস্থার ঠিকানা অর্পিতার অভিজাত বহুতলের।
অন্য দু’টির ঠিকানা উত্তর শহরতলির বেলঘরিয়া ও দক্ষিণ কলকাতার কসবার রাজডাঙা। ইডি-র কাছে খবর রয়েছে এর মধ্যে অর্পিতার নিজেরও প্রোডাকশন হাউস রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, ওই বারোটি ভুয়ো সংস্থার নামেই টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়াও হাওলার মাধ্যে টাকা পাচার হয়েছে রাজ্যের বাইরে।