অর্পিতার আরো এক ফ্ল্যাটে ইডির হানা

সম্প্রতি অর্পিতার একের পর এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এরম বিপুল সম্পত্তির আরো খোঁজ মিলতে পারে। তাই পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনে ফের হানা ইডির। এই আবাসনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামেই ছিল ফ্ল্যাট, এমনটাই অনুমান তাঁদের।

সেই প্রেক্ষিতে তল্লাশি চালাতেই এই আবাসনে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের দুটি ইস্পাতের দরজা ভেঙে অভিযান চালান হয়েছে। চাবিওয়ালা আনিয়ে ফ্ল্যাটের তালা ভাঙা হয়েছে বলেও ইডি সূত্রের খবর। ওই আবাসনের এক কর্মীর দাবি, দিনের আলোয় বন্ধ থাকত ওই ফ্ল্যাট।

স্বাভাবিকভাবে এখন একটাই প্রশ্ন সামনে আসছে, এই ফ্ল্যাট থেকেও কি উদ্ধার হবে টাকা বা অন্য কিছু? সেই নিয়ে বিরাট কৌতূহল বাড়ছে। এদিকে এই আবাসনে আসার আগে রবীন্দ্র সরোবর থানায় কিছু তথ্য জানতে যায় ইডি আধিকারিকরা।

এই ফ্ল্যাটের কাগজপত্র হস্তান্তর নিয়ে কোনও সমস্যা আছে বলেই সূত্রে মারফৎ খবর মিলেছে তাঁদের। সেই সংক্রান্ত নথির অনুসন্ধান চালাচ্ছে ইডি। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটের ইস্পাতের দরজা ভেঙে তল্লাশি শুরু করে দিয়েছে ইডি।

জানা গিয়েছে, চিন থেকে আনা হয়েছিল ওই দুই ইস্পাতের দরজা। তবে আপাতত এই ফ্ল্যাট অন্যের নামে থাকলেও ইডির হাতে তথ্য আছে যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে এই ফ্ল্যাট ছিল আগে এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই ফ্ল্যাটে আসতেন।

অন্যদিকে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মোট সোনার পরিমাণ জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনার নথি ইতিমধ্যেই আদালতে জমা দিয়েছে ইডি। ৫ টি আংটি, ৭ টি সোনার হার, সোনার বার, কঙ্কন (যার প্রতিটির ওজন ৫০০ গ্রাম বলা হয়েছে), ‘এ’ লেখার সোনার হার সবই মিলেছে।

এছাড়াও মিলেছে ১১ টি সোনার বালা। এর পাশাপাশি ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’ নিয়েও বড় তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে খোলা হয়েছিল এই সংস্থা। এর ৫০ শতাংশ করেই শেয়ার পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।