রমজান মাসে জোরদার ভাবে চলছে পুরাতন মালদায় লাচ্ছা এবং সেমুই তৈরির কাজ।প্রতিবছর ঈদের আগেই এই রমজান মাস চলাকালীন পুরাতন মালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খৈরাতিপাড়া এলাকায় অস্থায়ী কারখানা গড়েই শুরু হয় লাচ্ছা এবং সেমুই তৈরীর কাজ। মালদা থেকে ভিম জেলাতেও রপ্তানি হয় এই খাদ্য সামগ্রী।এবছরও ব্যাপকভাবে কাজ শুরু হয়েছে লাচ্ছা এবং সেমুইয়ের।
রীতিমত ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা লাচ্ছা এবং সেমুয়ের কিলো প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা দরে।যদিও পাইকারেরা সেই খাদ্য সামগ্রী কিনে বর্তমান বাজারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।উল্লেখ্য, রমজান মাসে সন্ধ্যায় রোজা ভাঙ্গার পর অনেকেই মূলত বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর সঙ্গেও মিষ্টি সুস্বাদু এই ধরনের লাচ্ছা ও সেমুই খাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
পুরাতন মালদা পুরসভার খৈরাতিপাড়া এলাকায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন কারিগড় দক্ষতার সাথেই এই লাচ্ছা সেমুই তৈরি করছেন।ওই কারখানার মালিক সারিক আলি জানিয়েছেন, রমজান মাস আসতেই তারা মূলত এই লাচ্ছা এবং সেমুয়ের কাজ শুরু করেন। যদিও সারা বছরে এই খাবারের তেমন কোন চাহিদা থাকে না। কিন্তু এই মাসটিতেই এই খাবারের চাহিদা আকাশছোঁয়া হয়ে পড়ে। রমজান মাস শুরু হতেই এই লাচ্ছা সেমুয়ের তৈরির কাজ শুরু করেছেন তারা। বনস্পতি তেল ডালডা সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর উপকরণ দিয়েই লাচ্ছা ও সেমুই তৈরি করা হয়।