করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকার মাঝেই ঊর্দ্ধমুখী সংক্রমণের সংখ্যা। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এখন যেন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে রাজ্য সরকারের কাছে। দিন দিন হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। একাধিক হাসপাতালের চিত্র ভয়ঙ্কর, সেখানে আক্রান্ত শতাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এই পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জরুরি নয়, এমন সব ধরণের অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে গেল আগামীকাল থেকে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশেনাল মেডিক্যাল এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে তারা।
বিগত কয়েক দিনে একে একে বিরাট সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, এসএসকেএম-এ। বিগত কয়েক দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সংক্রমণে লাগাম টানতে কড়া বিধিনিষেধ আবার লাগু করেছে সরকার। কিন্তু যা হওয়ার তা হয়তো হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি যে, রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সঙ্কটের মুখে চলে আসার অবস্থা। পরিষেবা চালু থাকবে কী ভাবে তাই নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ যারা চিকিৎসা করবেন, তারাই অধিকাংশই আক্রান্ত। তাই পরিষেবার একটা ‘ব্যালান্স’ আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য অধিকর্তা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরাও। এছাড়াও বিভিন্ন মেডিক্যেল কলেজে অধ্যক্ষরাও এই বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন। পাশাপাশি যোগ দিয়েছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষরা। বিগত কয়েক দিনে অনেক চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের দ্রুত কী ভাবে সুস্থ করে তোলা যায় সেই আলোচনাই এই বৈঠকে হয়েছিল। কয়েকটি দল ভাগ করে আলাদা আলাদা শিফট করে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার প্রাথমিক ভাবনা নেওয়া হয়েছিল।