এই মুহূর্তে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি পাকিস্তান। ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে এই দেশ। মারাত্মক বন্যায় কাতারে কাতারে মরছে কয়েক হাজার মানুষ। এরই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুও।
সব্জির দাম ছুঁয়েছে আকাশ। ফলের দামও মধ্যবিত্তের নাগালে বাইরে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবার ভারত থেকে জিনিসপত্র আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার। জানা যাচ্ছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং টমেটো আমদানি করতে পারে পাকিস্তান। সে দেশের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে এমনই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
পাকিস্তানের লাহোর বাজারে এক ব্যবসায়ী জানান, রবিবার টমেটোর দাম ছিল ৫০০ টাকা প্রতি কিলো। পিছিয়ে ছিল না পেঁয়াজও। তার দাম প্রতি কিলো ৪০০ টাকা। বাকি জিনিসের দামও ছিল আকাশ ছোঁয়া।
কিন্তু কেন এই মূল্যবৃদ্ধি। ওই ব্যবসায়ী জানান, বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ সব্জি নষ্ট হয়েছে। আমদানি করা সব্জির যোগানও যথেষ্ট কম। বাজারে চাহিদা মতো জোগান না থাকায় এই মূল্যবৃদ্ধি।
আশঙ্কার কথা এখনেই শেষ নয়। ওই ব্যবসায়ী জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরও বৃদ্ধি পাবে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে চাহিদাও। কিন্তু কেন এই দুরবস্থা? এর উত্তরে ব্যবসায়ী জওয়াদ রিজবী জানান, ভয়ংকর এই বন্যায় বেলুচিস্তান, সিন্ধ এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবে সব্জির উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
আগামী দিনে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম ৭০০ টাকা প্রতি কিলোর থেকেও বেশি হতে পারে। এমনকি প্রায় তিনগুণ দাম বেড়েছে আলুরও। ৪০ টাকা কেজি আলু পাকিস্তানের বাজারে এখন মিলছে ১২০ টাকা প্রতি কেজি দামে।
এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ ও টমেটো আমদানি করার পরিকল্পনা করছে পাকিস্তানের সরকার। ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হবে সমস্ত জিনিস।
লাহোর, পাঞ্জাব সহ অন্যান্য শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান থেকে টমেটো এবং পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। লাহোর বাজার কমিটির সচিব শাহজাদ চিমা বলেন, বন্যার কারণে বাজার থেকে একরকম উধাও হয়ে গেছে ক্যাপসিকামও।
চিমা আরও বলেন, ইরান থেকে সব্জি আমদানি করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান সরকার ইতিমধ্যেই আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই সংকটময় পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা ভারতই। শাহাবাজ সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ ও টমেটো আমদানি করার কথা ভাবছে বলে জানান তিনি।