আর্থিক পরিস্থিতি সঙ্গীন হওয়ায় মুক্ত হতে পারছিলেননা সুদীপ্ত

বিগত কয়েক বছরের চলতে থাকা মামলার নিষ্পত্তি, জামিন মিললেও মুক্ত হতে পারেননি তিনি। সারদা চিটফান্ড মামলায় সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে পশ্চিম বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জন সহ আসানসোলের মোট পাঁচটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই সকল অভিযোগগুলির ভিত্তিতে পাঁচটি মামলাও দায়ের করা হয়।

সেই মামলাগুলির প্রেক্ষিতেই আসানসোল আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন সুদীপ্ত সেন। পাঁচটি মামলায় বেলবন্ডও জমা দেন সারদা-কর্তা। ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর আসানসোল আদালতে চলা এই মামলাগুলিতে জামিন পেয়েছিলেন সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন৷ কিন্তু, অর্থাভাবে সেই সময় বেলবন্ড জমা দিতে পারেননি।

আসানসোলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মনোজ কুমার প্রসাদের এজলাসে দাঁড়িয়ে সুদীপ্ত নিজে বলেন, ‘আমার আর্থিক পরিস্থিতি সঙ্গীন। আমাকে পিআর বন্ড দেওয়া হোক।’ এরপরেই বিচারক ডিএলএস বা ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস থেকে আইনজীবী এনামুল হককে নিয়োগ করা হয়।

তিনি সুদীপ্ত সেনের হয়ে তিনি বেল বন্ডের আবেদন করেন। বিচারক জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’ এ দিনের হাজিরার পরে আবারও প্রেসিডেন্সি জেলে ফিরে নিয়ে যাওয়া হয় সুদীপ্ত সেনকে।