অতিরিক্ত শৈত্য প্রবাহের কারণে রবিচাষে প্রমাদ গুনছেন চাষিরা

ঠান্ডার দাপটে সপ্তাহের প্রথম দিনে কার্যত জবুথবু অবস্থা নদিয়া জেলার বাসিন্দাদের। সোমবার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন  ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসও সর্বোচ্চ ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শৈত্য প্রবাহের জন্য রবি ফসলে ক্ষতির আশঙ্কায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা কৃষি দফতর। ঠান্ডায় ফসল বাঁচাতে জেলা জুড়ে কৃষকদের সতর্ক করছেন ব্লক কৃষি আধিকারিকেরা। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় আগামী দু-একদিন শৈত্য প্রবাহের দাপট বেশ চলবে। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও।

কৃষির উপর নির্ভর নদিয়ায় শীতে গম, ভুট্টা, মুসুরি, মটর, আলু, সরষে ইত্যাদি রবি ফসলের চাষ হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত শৈত্য প্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। ধানের পাতা লালচে হয়ে  উঠছে। গাছের বৃদ্ধিও ব্যাহত হচ্ছে। সরষে চাষের ক্ষেত্রেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। সমস্যায় পরেছে শীতকালীন ভুট্টাচাষিরাও। বোরোর বীজতলায় জৈব সারের সঙ্গে সালফার মিশ্রিত সার প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে সালফার জমি গরম রাখতে সাহায্য করে। বীজতলায় কেরোসিন মাখানো নারকেলের দড়ি দিয়ে গাছের আগা ভেঙে দিতেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি দফতর থেকে।আবার কুয়াশার কারণে সন্ধ্যে থেকে সকাল পর্যন্ত বীজতলায় প্লাস্টিকের মশারি টাঙাতেও বলা হচ্ছে। ডাল ও তৈল বীজ চাষের ক্ষেত্রেও চাষিদের বরোন স্প্রে করার কথা বলা হচ্ছে। তবে সোমবার সকাল থেকে শৈত্যপ্রবাহের জন্য অনেক চাষিই প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমিমুখো হতে পারেনি।

শৈত্যপ্রবাহ থেকে রবিফসল বাঁচাতে চাষিদের কী কী সতর্কতা নিতে হবে, কোন কোন সার প্রয়োগ করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে একটি পরামর্শমূলক নির্দেশিকা রাজ্যস্তর থেকে জারি হয়েছে। কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন ওষুধ বা কী পরিমাণে, কী ভাবে প্রয়োগ করতে হবে তাও উল্লেখ করা আছে নির্দেশিকায়। ব্লক কৃষি দফতর এর প্রচার চালাচ্ছে । এদিন সকাল থেকে কনকনে ঠান্ডায় রাস্তার পাশে, মাঠের কোণে আগুন জ্বালিয়ে লোকজনকে জড়ো হতে দেখা গিয়েছে। অনেক বেলা পর্যন্ত এদিন সূর্যের দেখাও মেলেনি।