তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। কাঠফাটা রোদ্দুর আর অস্বস্তিকর গরমে বাঙালির হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছে। এই অবস্থায় রাস্তায় বেরোনো খুব চাপের। কিন্তু কাজ থাকলে রোদে না বেরিয়ে উপায় নেই। তবে, জলের বোতল সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। আবার যদি নুন-চিনি মিশিয়ে নেন, মিলবে আরও উপকারিতা। কিংবা মেশাতে পারেন ওআরএস-ও।
গরমে অত্যধিক ঘাম হলে জল ও ইলেক্ট্রোলাইট শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। গ্লুকোজও থাকে এর মধ্যে। গ্লুকোজ হল শারীরিক শক্তির উৎস। সুতরাং, দেহ থেকে এসব উপাদান বেরিয়ে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ক্লান্ত লাগে। এই অবস্থা ওআরএস-এর জল খেলে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে। এটি দেহে তরল, নুন ও গ্লুকোজের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। কিন্তু কতটা পরিমাণ ওআরএস-এর জল খাবেন এবং গরমে কতক্ষণ অন্তর খাবেন?
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মতে, ওআরএস-এর জলের পরিমাণ পরিমাপ করতে হবে মিলিলিটারে। অত্যধিক গরমে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর আপনি ১০০ এমএল করে ওআরএস-এর জল খেতে পারেন। ওআরএস না থাকলে নুন-চিনির জলও খেতে পারেন।
প্রাপ্তবয়স্করা সারাদিনে ৩ লিটারের বেশি ওআরএস-এর জল খেতে পারেন। আর সারাদিনে ৩ লিটার পর্যন্ত নুন-চিনির জল খেতে পারে শিশু ও কিশোররা। তবে, নুন-চিনির জল শরীর বুঝে খাওয়া দরকার। অত্যধিক পরিমাণে নুন-চিনি বা ওআরএস-এর জল খেলে শরীরে এর খারাপ প্রভাবও পড়তে পারে। তাপপ্রবাহের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি ওআরএস-এর বা নুন-চিনি জল খেতে পারেন।