রোগী নিরাপত্তা বাড়াতে ডোজি ফল প্রিভেনশন অ্যালার্ট

ডোজি, ভারতের প্রথম এআই-ভিত্তিক কন্টাক্টলেস রিমোট পেশেন্ট মনিটরিং (RPM) এবং প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ সিস্টেম (EWS), যা রোগী নিরাপত্তায় বিপ্লব আনার লক্ষ্যে তার উদ্ভাবনী ফল প্রিভেনশন অ্যালার্ট (FPA) বৈশিষ্ট্য চালু করার কথা ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বেঙ্গালুরুতে মর্যাদাপূর্ণ ১১ তম আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংলাপ কর্মসূচিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, রোগীর পড়ে যাওয়া হাসপাতালের জন্য সবচেয়ে প্রতিকূল ঘটনা। তারা বলে এটি অনিচ্ছাকৃত আঘাতের কারণে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুসারে, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১০০০ অকুপাইড বেড ডে (OBD)-এর মধ্যে গড় হারে ৬.৬ বেড থেকে রোগী পড়ে যান। যার মধ্যে ৩০% ঘটনা শারীরিক আঘাত, হাড় ভাঙার মতো থাকে।

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, ভারতেও আনুমানিক ১.৫-২ মিলিয়ন বয়স্ক বা প্রাপ্তবয়স্ক রোগী প্রতি বছর হাসপাতালের বেড থেকে পড়ে যান। ১ মিলিয়ন পড়ে যাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়ে হয়ে এমন ঘটনাও রেকর্ডে রয়েছে। ডোজি-এর ফল প্রিভেনশন অ্যালার্ট (FPA) বৈশিষ্ট্য তার রিয়েল-টাইম মনিটরিং ক্ষমতা এবং সক্রিয় সতর্কতার মাধ্যমে রোগীর নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিপ্লব নিয়ে এসেছে। ডোজি সেন্সর শীটের বেড এক্সিট লগিং সহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ-ঝুঁকির রোগীদের জন্য কাস্টমাইজযোগ্য সতর্কতা অফার করে, এবং কোনও বিরূপ ঘটনায় তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ নিশ্চিত করে।

রোগীরা যখন তাদের বিছানা ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন নার্সদের সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করা হয়। ডাঃ সন্দীপ রেড্ডি, কনসালটেন্ট, এমএস রামাইয়া হসপিটাল মন্তব্য করেছেন যে ‘ডোজি-এর দ্য ফল প্রিভেনশন অ্যালার্ট ফিচার সুরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর, যা রোগীদের পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়। এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম করে।“