প্রবল বৃষ্টিতে দিঘায় বেহাল অবস্থা

রাজ্য জুড়ে চলছে অতিভারী বৃষ্টির উপদ্রপ। বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্দুত সহ বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া৷ পাশাপাশি বৃষ্টি হচ্ছে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়াতেও৷ বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি নিম্নচাপের জেরেই এই বৃষ্টি৷ এই নিম্নচাপ ক্রমশ ওডিশার দিকে সরে যাওয়ায় উপকূলবর্তী তিন জেলায় এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি৷ ইতিমধ্যেই দিঘার উপকূল জুড়ে দেখা দিয়েছে জলচ্ছ্বাস৷ গার্ডওয়াল টপকে জল ঢুকছে শহরে৷ এদিকে কাঁথির শৌলায় বাঁধ না থাকায় জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের ভিতরে৷ ভেসে যায় দিঘা বাজার এলাকা। ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ প্রায় ৩০ ফুট বলে জানা গিয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার ভরা কোটালের জেরেই এই জলোচ্ছ্বাস৷ 

মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তাল হতে শুরু করে দীঘার সমুদ্র। পর্যটকদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। জলে না নামলেও সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস দেখতে সাগর পাড়ে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা। অনেকেই জানিয়েছেন, এত উঁচু ঢেউ তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। সৈকত লাগোয়া কিছু হোটেল ও রিসর্টের ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে বলে খবর৷ 

মাস খানেক আগেই যশের দাপটে লন্ডভন্ড হয়েছিল দিঘা৷ জলের তলার চলে গিয়েছিল বহু কাঁচা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হন স্থানীয় মানুষজন। দিঘার বাঁধ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন করে ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণের কাজও শুরু করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। এর মধ্যে ফের ভরা কোটালের জেরে শুরু জলোচ্ছ্বাস৷ যদিও তার মধ্যেই ফের একবার জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলের বেশ কিছু গ্রাম। অন্যদিকে, দিঘা উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নামখানা থেকে আসা একটি ট্রলার সমুদ্রে ডুবে গিয়েছে৷ মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা৷