দেশের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন ধনকড়

সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রপতি পদে বসেছেন, নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর পরেই গতকাল, বৃহস্পতিবার দেশে ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

গত সপ্তাহেই ধনকড় বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মার্গারেট আলভাকে বিপুল ভোটে হারিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই দেশের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করালেন দেশের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিনের এই উপরাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য।

এছাড়াও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। তাঁদের সকলকে সাক্ষী রেখেই এদিন শপথ বাক্য পাঠ করলেন বাংলার অন্যতম বিতর্কিত প্রাক্তন রাজ্যপাল।

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী হিসেবে অপ্রত্যাশিতভাবেই সামনে এসেছিল জগদীপ ধনকড়ের নাম। যদিও বিজেপির একজন বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ধনকড় কয়েক যুগ ধরে কাজ করে আসছেন।

কিন্তু তারপরেও পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে একাধিক রাজনীতিবিদের নাম সামনে এলেও ধনকড়ের নাম ঘোষণা করে রীতিমতো বড়সড় চমক দিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

অন্যদিকে ধনকড়ের বিপক্ষ হিসেবে বিরোধীদের তরফ থেকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মার্গারেট আলভার নাম ঘোষণা করা হয়। সেই আলভাকেই হারিয়ে ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ধনকর।

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বৈধ বোধ করেছিল ৭২৫টি। যার মধ্যে ধনকড় পেয়েছিলেন ৫২৮টি ভোট। অন্যদিকে বিরোধীদলের মনোনীত প্রার্থী মার্গারেট আলভার প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮২, যা ১৯৯৭ সালের পর একটি রেকর্ড।

জানা যাচ্ছে এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ নিজ বাসভবন থেকে রওনা দেন ধনকড়। রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিল তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু তার আগে রাজঘাটে যান তিনি। সেখানে মহাত্মা গান্ধীর বেদিতে স্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করে রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।