জয় মিলেছে সদ্যই। বিপুল ভোটে জিতে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনিই ভারতের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। রাইসিনা হিলসে তাঁর আগমন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আগামী ২৪ জুলাই শেষ হচ্ছে ১৪তম রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ।
এর পরেই রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেবেন দ্রৌপদী মুর্মু। শপথ নেওয়ার পরই দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের বাসিন্দা হবেন এই আদিবাসী নেত্রী। তাঁকে স্বাগত জানাবে রাইসিনা হিলস। কিন্তু, অনেকেই হয়তো জানেন না কোনও দেশের সাংবিধানিক প্রধানের বাসভবন হিসাবে এটিই বিশ্বের বৃহত্তম।
সুবিশাল জায়গার উপর গড়ে ওঠা রাষ্ট্রপতি ভবনের খুঁটিনাটি জানলে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন। এই ঐতিহাসিক ভবনে চারটি তলা মিলিয়ে রয়েছে মোট ৩৪০টি ঘর। রয়েছে আড়াই কিলোমিটার লম্বা করিডর। ১৯০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে বাগান।
ব্রিটিশ জমানায় এটি ছিল ভারতের ভাইসরয়ের সরকারি বাসভবন। ১৯৫০ সালে প্রাসাদটি রাষ্ট্রপতি ভবন হিসাবে পরিচিতি লাভ করে৷ এই সুবিশাল ভবনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য হায়দরাবাদে রয়েছে ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়ম’ নামে আরও একটি বিলাসবহুল ভবন।
একই রকম ভাবে ছুটি কাটানোর জন্য সিমলায় রয়েছে রিট্রিট বিল্ডিং। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের পাঁচ জন কর্মী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন প্রায় দু’শো জন কর্মী৷ ভারতের রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ৫ লক্ষ টাকা৷ ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাসে দেড় লক্ষ টাকা বেতন পেতেন রাষ্ট্রপতি।
কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার পর রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালদের বেতন একলাফে অনেকটাই বেড়ে যায়। বেতন ছাড়াও আরও অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি৷ যেমন- বিনা খরচে সারা জীবন চিকিৎসার সুযোগ৷ রাষ্ট্রপতি ভবনে কর্মীদের বেতন, অতিথি আপ্যায়ন এবং খাওয়া দাওয়ার জন্য বছরে বরাদ্দ থাকে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।
ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয় কালো রঙের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। এছাড়াও একটি লিমুজিন গাড়িও পান তাঁরা৷ এছাড়াও আরও বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন ভারতের সাংবিধানিক প্রধান৷ যেমন রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী বা স্বামী বিনা খরচে বিশ্বের যে কোনও দেশে ঘুরতে যেতে পারেন।
অবসরের পরেও প্রতি মাসে দেড় লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতিরা৷ এছাড়াও অবসরের পর তাদের থাকার জন্য আসবাবপত্র-সহ একটি সরকারি বাংলো বিনা খরচে দেওয়া হয়৷ পাশাপাশি দু’টি ল্যান্ডলাইন ও একটি মোবাইল ফোন বিনা খরচে আজীবন ব্যবহার করতে পারেন৷
অবসরের পরেও রাষ্ট্রপতিরা প্রয়োজনীয় কর্মীদের বেতন বাবদ বছরে ৬০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। একজন সঙ্গী নিয়ে বিমান বা ট্রেনে বিনা খরচে ভ্রমণ করার সুবিধাও দেওয়া হয় তাঁদের৷