ডেঙ্গু প্রাণ কেড়ে নিল শিলিগুড়ির ২৩নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুপদ সাহার

তৃণমূল দলের জন‍্য সব ত‍্যাগ করা সকলের বিষ্ণু চলে গেলেন চির নিদ্রায়। ২৩ নম্বর ওর্য়াড সম্পাদক বিষ্ণুপদ সাহাকে কেরে নিল “ডেঙ্গু”। কালী পূজোর রাত থেকে জ্বরে আক্রান্ত হয় ডাবগ্রাম নিবাসী বিষ্ণু সাহা।

বিষ্ণুবাবু চাপা প্রকৃতির ছিলেন তাই জ্বরের খবর কাউকে দেননি। পরে আস্তে আস্তে শরীরের অবনতি হতে থাকে এবং সকলে বিষয়টি জানাজানি হতেই তাকে কলেজপাড়ার একটি বেসরকারী নাসিংহোমে ভর্তি করা হয়। শরীরের অবস্থা আরো অবনতি হতে থাকায় বিষ্ণু বাবুকে ঐ রাতেই হিলকার্ড রোডের আরেকটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাঃ শেখর চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়।

ডাক্তার সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু হবার কারনে রক্তের প্লেট রেট ২০ হাজারের নীচে নামার পাশাপাশি শরীরের অন‍্যান‍্য যন্ত্রাংশ বিকল হতে থাকে। গতকাল রাতে ডাক্তার দেখে কোন আশার আলো দিতে পারেনি। আজ সকাল ৯:৪০মিনিট নাগাদ বিষ্ণুবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিষ্ণু সাহা ছিলেন ২৩ নম্বর ওর্য়াডের পুরপিতা স্বর্গীয় কৃষ্ণ চন্দ্র পালের ছায়া সঙ্গী।

কৃষ্ণ পালের মৃত‍্যু পর বিষ্ণু সাহা চলে যাওয়ায় ওর্য়াড থেকে দলের অন্দর মহল কেউ মেনে নিতে পারছেন না। বিষ্ণুবাবু ২৩ নম্বর ওর্য়াডের জাগরণী সংঘ ক্লাবের সভাপতি ,মাষ্টার প্রীতনাথ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছাড়াও একাধিক সংগঠনের পদে আসীন ছিলেন। তাঁর এভাবে চলে যাওয়াতে শহরে সকল স্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র শোকবার্তা দিয়ে বলেন, “বিষ্ণুকে কলেজের ছাত্র রাজনীতি থেকে চিনি। খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আজ বিষ্ণু চলে যাওয়াতে দলের ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে দল একজন ভালো মানুষ হারাল। বিষ্ণু সাহা মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরতেই শহরের সকল স্তরের মানুষের পাশাপাশি বন্ধু রাজনৈতিক ব‍্যক্তিত্বরা নাসিংহোমে ভীড় জমান।
তাদের মাঝে তাঁর বন্ধু সুবীন ভৌমিক সদান্দন দাস কলেজ জীবনের কথা জানান এবং বিষ্ণু বাবুর এভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছেননা। পাশাপাশি ওর্য়াডের দলীয় বন্ধুদের মধ্যে মদন ভট্টাচার্য বাবলু পাল জানান, বিষ্ণুদার এভাবে চলে যাওয়া দলের পাশাপাশি ওর্য়াডের অনেক বড় ক্ষতি।