ফের একবার বিক্ষোভ শুরু বিধানসভার সামনে। একই দিনে রাজ্যের দুই প্রান্তে দুই কাউন্সিলরের খুনের ঘটনায় তোলপাড় সব জায়গায়। খড়দহ এবং ঝালদায় কাউন্সিলরের মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। এই ইস্যুতে এদিন উত্তাল হল বিধানসভাও। একদিন বুকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। অন্যদিকে, পুলিশ মন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে ওয়াক আউট করেন তারা। সেই সময়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।
যে দুই কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে তারা কেউই বিজেপির নয়। কিন্তু এই ইস্যুতে বিক্ষোভের কোনও অন্ত রাখছে না বিজেপি বিধায়করা। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে ঘুরিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেই বলা হয়েছে যে, এইভাবে তাদের কর্মী, কাউন্সিলর মেরে তৃণমূলকে শেষ করা যাবে না। এর পেছনে কারা রয়েছে তা সকলেই বুঝতে পারছেন। তবে বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে বিধানসভায় এসে জবাব দিতে হবে। অধিবেশন কক্ষের বাইরে তাঁদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় অশোক দিণ্ডা, অগ্নিমিত্রা পল সহ বিজেপি বিধায়কদের।
গতকাল পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুুপম দত্তকে এবং ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। বাইকের পিছনে বসে ছিলেন অনুপম। সে সময় আততায়ীরা তাঁর মাথায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। অন্যদিকে, ঝালদায় গুলিতেই নিহত হয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তাঁকেও খুব কাছ থেকেই গুলি করা হয়েছে। কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে রবিবার রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত। তবে পুরুলিয়ার ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের অভিযোগে সোমবার সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।