সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় প্রযুক্তির এক খেলা শুরু হেয়েছে, পোশাকি নাম ‘ডিপফেক ভিডিয়ো’। কিছু অসাধু নেটাগরিকরা টার্গেট করছেন সমাজের বিশেষ জনেদের ।তাঁদের মুখ একই রেখে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বদল ঘটিয়ে, জন্ম দিচ্ছেন এক নতুন শরীরের। এবার এই ডিপফেক ভিডিয়োর জালে জড়ানো হল ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ সচিন তেন্ডুলকর ও তার মেয়ে সারা তেন্ডুলকরকে।একটি গেমিং অ্যাপ সচিন-সারাকে নিয়ে নকল ভিডিয়ো তৈরি করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আধুনিক ক্রিকেটের ডন অনলাইন গেমের প্রচার করছেন। তিনি বলছেন যে, তাঁর মেয়ে সারাও নাকি এই গেম খেলে প্রতিদিন প্রায় ১.৮ লক্ষ টাকা করে অর্জন করছেন। সচিনের নজরেও এই ভিডিয়ো পড়েছে। তিনি তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে মুখ খুলেছেন।
সচিন ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছেন, এইগুলো পুরপুরি ভুয়ো। প্রযুক্তির এরূপ অপব্যবহার দেখলে বিরক্ত লাগে।তিনি এই ধরনের ভিডিও, বিজ্ঞাপন এবং অ্যাপগুলিকে প্রচুর পরিমাণে রিপোর্ট করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরওসতর্ক হতে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরধ করেন। সচিন তাঁর ভিডিয়োতে ট্যাগ করেছেন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রককে এবং এই বিষয়ক মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে। সেই সঙ্গে সচিন ট্যাগ করেছেন মহারাষ্ট্র পুলিসের সাইবার শাখাকেও।
গতবছর নভেম্বরে একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল যে, ক্রিকেটার শুভমন গিলের কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন সারা। যে ছবি অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। ঘটনাচক্রে মূল ছবিটি ছিল সারা ও অর্জুন তেন্ডুলকরের। ডিপফেক ও শুভমন-এর বিষয়েও মুখ খুলেছিলেন। ইনস্টায় বিবৃতি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘সোশ্য়াল মিডিয়া অসাধারণ একটা জায়গা। যেখানে আমরা আনন্দ-দুঃখ এবং প্রতিদিনের কার্য়কলাপ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিই। যাই হোক, প্রযুক্তির অপব্যবহার দেখতে বিরক্তিকর লাগে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় যা দেখানো হয়, তার সত্যতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা থেকে বহু দূরে। আমি আমার বেশ কিছু ডিপ ফেক ছবি দেখেছি, যা বাস্তব থেকে বহু দূরে। বিনোদন কখনই সত্যের মূল্য দিয়ে হওয়া উচিত নয়। আসুন আমরা বিশ্বাস এবং বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে যোগাযোগকে উৎসাহিত করি’। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ পারফরম্যান্স সারার। ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের স্নাতক তিনি, তাকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেন ৬ মিলিয়ন মানুষ। আন্তর্জাতিক পোশাকের ব্র্যান্ড সেল্ফ-প্রোটেইট-এর সঙ্গে সারার বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় পথচলা শুরু। সারা খবরের শিরোনামে থাকেন কখনও দারুণ ফটোশুট করে তো কখনও ঘুরতে গিয়ে রঙিন দিনযাপনের ছবি দিয়ে।