আবার একবার বিপদের আশংকা৷ সংকটে নীল গ্রহ! পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক বিশালাকৃতি গ্রহাণু৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ১ এপ্রিল পৃথিবীর একেবারে কাছে চলে আসবে এটি৷ এই গ্রহাণু আকারে কুতুব মিনিরের চেয়ে প্রায় ৩.৫ গুণ বড়৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটি একেবারে পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে৷
নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুর নাম Dubbed 2007 FF1৷ এটি অন্যান্য গ্রহাণু থেকে অনেকটাই আলাদা৷ আয়তনেও বিশাল৷ চওড়ায় ২৬০ মিটারেরও বেশি৷ ১ এপ্রিল পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে Dubbed 2007 FF1৷ তবে পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ বা নীল গ্রহের বুকে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই৷ এই গ্রহাণুর গতিপথের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব থাকবে মাত্র ৭৪,২৩,০৪৬। পৃথিবীর একদম কাছে চলে আসায় এটিকে বলা হবে NEO (নিয়ার আর্থ অবজেক্ট)৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর দিকে ৪৬,১৮৮ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি৷
গত জানুয়ারি মাসেও পৃথিবীর সামনে উপস্থিত হয়েছিল এমনই এক বিপদ৷ একেবারে গা ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছিল বুর্জ খলিফার চেয়ে বড় এক গ্রহাণু। নাসার জানিয়েছে, ওই গ্রহাণুটির নাম ছিল ৭৮৪২ (১৯৯৪ পিসিআই)। ওই গ্রহাণুটির আকারও ছিল বিশাল৷ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিল্ডিংয়ের চেয়েও বড়।
ইন্টারন্যাশনাল আকাডেমি অফ অ্যাস্ট্রোনটিকস প্ল্যানেটরি ডিফেন্স কনফারেন্সে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, বিভিন্ন হলিউড ছবিতে বার বার দেখানো হয়েছে অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে৷ অথচ অদ্ভূতভাবে মানুষ তার প্রভাবকে খর্ব করে চেনা ছন্দে ফিরে আসে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে৷ যা দেখার পর মানুষের মনেও একটা মিথ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তাঁরা এটা আন্দাজও করতে পারছেন না যে, সত্যিই কোনওদিন যদি এমন কিছু ঘটে তাহলে তা কতটা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে৷
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ২০১৩ সালে চেলিয়াবিনস্ক শহরের একটি ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন তিনি৷ শহরের ২৩ কিমি উপরে বিস্ফোরণ হয় ৬৫ ফুটের একটি গ্রহাণুর। এর প্রভাব ছিল ভয়ঙ্কর৷ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কয়েক হাজার বাড়ি। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ১৫০০-র বেশি মানুষ। সবটাই ছিল গ্রহাণু বিস্ফোরণের শকওয়েভ৷ তাই বারবার সতর্ক করে ব্রাইডেনস্টাইন বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা বিরল নয়। এর প্রভাবও সুদূরপ্রসারী৷