জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

বৃষ্টিতে ভেঙে গিয়েছে কালভার্ট। দ্রুত মেরামতের দাবী জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের হুদুগছ এলাকার বাসিন্দাদের।চরম সমস্যায় স্কুল পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রী এবং এলাকাবাসীরা। অতি বৃষ্টির ফলে ভেঙ্গেছে কালভার্ট।গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে বন্ধ। প্রশাসনের কর্তারা এসে দেখে গেলও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এক প্রকার এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলা যেতে পারে। স্কুল খোলা রয়েছে কিন্তু পড়ুয়ারা রাস্তাঘাটে খেলাধুলা করছে। জিজ্ঞাসা করতে তাদের মুখে একটাই শব্দ স্কুলে তো যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে কিন্তু যাব কোন দিক দিয়ে? রাস্তা তো বন্ধ। এলাকাবাসীরা জানান কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা বাজার ঘাট করতে পারছি না। ফলে রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া, হাট বাজারের সমস্যা হচ্ছে। আজ প্রায় দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা করেনি প্রশাসন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।গ্রামের কিছু মানুষ দু-তিনটি বাঁশ দিয়ে কোনোমতে এপার ওপার যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছে ঠিকই কিন্তু সে দিক যেতে গেলেই বারবার পড়ে যেতে হয় জলের মধ্যে।ইতিমধ্যে বেশ কিছু জন জলে পড়েও গিয়েছে। জানিনা কবে এই ব্রিজের সুব্যবস্থা হবে।বিডিও, ডিএম এমন কি মন্ত্রী এসেও দেখে গিয়েছে এই ব্রিজের পরিস্থিতি। কিন্তু তারা কি করবে আদৌ কালভার্ট? তৈরি হবে কি না তা বোঝা মুশকিল। কতদিন যে আমাদের এভাবেই চলতে হবে সেটাও জানি না। ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। মাঠে-ঘাটে খেলাধুলা করছে তাদেরও তো ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে হদুগছ প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জানান কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানকার ১০-১২ জন শিশু স্কুলে আসতে পারছে না ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে। কোভিডের কারণে বেশ কিছুদিন ছিল স্কুল বন্ধ। এরপরও স্কুল চালু হলেও একের পর এক সমস্যার কারণে স্কুলের ছুটি রয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে আবার যদি এই শিশুরা কালভার্টের ল কারণে স্কুলে না আসতে পারে তাহলে এদের ভবিষ্যৎ দিন দিন অন্ধকারের দিকে চলে যাবে। প্রশাসনের কাছে আমি নিবেদন করছি যে যাতে তাড়াতাড়ি এই কালভার্টের বিকল্প ব্যবস্থা করে। যাতে শিশুরা পুনরায় স্কুলে আসতে পারে। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় টেলিফোনে জানান ইতিমধ্যেই বিডিও বিষয়টি দেখছেন। তিনিও খুব শীঘ্রই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।