সংক্রমণ রুখতে সফলতার পথে দেশ

করোনার বিরুদ্ধে শক্ত হাতেই ব্যাটিং করছে ভারত। লকডাউনের করা বিধিনিষেধ এবং টিকাকরণকে হাতিয়ার করে অনেকটাই বাগে আনতে পেরেছে করোনা সংক্রমণকে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন বদলাচ্ছে দেশে। দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১১১। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৫ লক্ষ ২ হাজার ৩৬২। মৃত্যু হয়েছে ৭৩৮ জনের। অতিমারি পর্বে দেশে মোট মৃত্যু হল ৪ লক্ষ ১ হাজার ৫০ জনের। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭,৪৭৭ জন। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৩৩। ভারতে অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৩৩। করোনার সঙ্গে লড়তে ভ্যাকসিনকেই অন্যতম হাতিয়ার বলে মানছেন বিশেষজ্ঞরা। সারা দেশে ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ ১১ হাজার ২৯১ জনকে ভ্য়াকসিন দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্টোদিকে, বাংলার কোভিড সংক্রমণও আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪২২ জন। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে আজ সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, সেখানে এক দিনে আক্রান্ত ১৫৮ জন। দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে কলকাতা। এখানে করোনার কবলে এক দিনে পড়েছেন ১৩৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৯। হাওড়া ও হুগলিতে একদিনে আক্রান্ত যথাক্রমে ৭৪ ও ৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২ হাজার ৭০৬ জন। মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ২১৯ জন। করোনাকে হারিয়ে এক দিনে জয়ী হয়েছেন ১ হাজার ৮৪০ জন।

তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই দেশে টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফলও জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক। পাশাপাশি দেশের হাতে আসতে চলেছে আরও এক ভ্যাক্সিন। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে বছরে ১২০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা।