এই মুহূর্তে চাকরি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী শহরের রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল। দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে নিয়োগ চাইছে তাঁরা। সকলের দাবি তাঁরা যোগ্য প্রার্থী কিন্তু তাদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। সেই নিয়োগ নিয়েই বড় পর্যবেক্ষণ আদালতের।
কলকাতা হাইকোর্ট মনে করছে, এই মুহূর্তে ১৮ হাজার শূন্যপদ খালি রয়েছে। কিন্তু রাজ্যের শূন্যপদের সংখ্যা কত? আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তা জানাতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নাম না করে) এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন আদালতের হস্তক্ষেপের জন্য অনেকের চাকরি হচ্ছে না। এমনটা জেনেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই প্রেক্ষিতেই তিনি এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেন। আসলে আগেও একাধিক জনসভায় রাজ্যের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে আদালতের হস্তক্ষেপের জন্য চাকরি আটকে গিয়েছে।
স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন ১৭ হাজার চাকরি হাতে আছে, কিন্তু আদালতের বিষয়ের কারণে তিনি দিতে পারছেন না। এই নিয়েই এবার ইস্যু আদালতে। আদৌ কোনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা, বা থাকলেও তা কোথায় রয়েছে সেই তথ্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পেশ করতে হবে।
রাজ্যে সরকারের তরফে মাদ্রাসা এবং লাইব্রেরী সংক্রান্ত তথ্যও তলব করেছে আদালত। আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় খতিয়ে দেখবে যে সব নিষেধাজ্ঞা দূর করে যাতে অবিলম্বে এই শূন্যপদে চাকরি দেওয়া যায়। গোটা বিষয় প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে র্যাগিং করা হচ্ছে। ভাবতে অবাক লাগছে।