করোনা আক্রান্তরা থাকছে বাক্সবন্দী হয়ে

আজ থেকে বিগত দু বছর আগে এখান থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। সালটা ছিল ২০২০। এখন প্রায় ২ বছর হয়ে গেলেও সেই ভাইরাস থেকে মুক্তি তো মেলেইনি, উলটে নতুন নতুন প্রজাতির কবলে পড়েছে বিশ্ব। অন্যান্য দেশের মতো চিনেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু কোভিড কেস কমানোর জন্য যে পন্থা অবলম্বন করছে চিন তা নিয়ে ছিছিক্কার সর্বত্র। কোভিড আক্রান্তদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখছে তারা! ওটাই নাকি তাদের কোয়ারেন্টিন। সম্প্রতি এই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।

আসলে বেজিং সরকার তাদের দেশে ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়েছে। তার ওপর আবার কিছুদিন পর চিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শীতকালীন অলিম্পিক্স। তার আগে যাতে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সেই জন্য আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের এইভাবে ‘কোয়ারেন্টিনে’ পাঠানো হচ্ছে। সংক্রমিত সন্দেহ হলেই জোর করে নাগরিকদের ওই ধাতব বক্সে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ নাগরিকরা তো বটেই, এমনকী গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ কাউকেই রেয়াত করা হচ্ছে না। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মূলত কোভিড হলে যতদিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়, এই ধাতব বাক্সে ততদিনই রাখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই ধাতব বাক্সগুলির মধ্যে রয়েছে একটি খাট, জলের বোতল ও একটি শৌচাগার। কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তিদের ও তাদের সংস্পর্শে আসা সকলকেই সেখানে ঢুকিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।

এদিকে, চিনের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও করোনার সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন। বুধবার দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭২০। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণের হার ১১ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ। তবে আশার কথা হল, আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও মৃত্যুর হার বাড়েনি। উল্টে দেখা যাচ্ছে গত দু’বারের তুলনায় এবার হাসপাতালে ভর্তির হারও তুলনামূলক ভাবে কম।