শীঘ্রই শিলিগুড়ির পাইপ দিয়ে বাড়িতে যাবে রান্নার পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস

দক্ষিণবঙ্গের মতন উত্তরবঙ্গবাসীদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর। এবার আর সিলিন্ডারের ঝামেলা নয়, ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমেই প্রাকৃতিক গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হবে। জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করবে এবং পরিবেশবান্ধব গ্যাস পরিষেবার শিলিগুড়িতে এই নতুন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড অর্থাৎ GAIL। ইতিমধ্যেই GAIL সংস্থাটি শিলিগুড়িতে ৪৭ কিলোমিটার জুড়ে একটি পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। যা যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে শিলিগুড়ি ও শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মূল লাইনের কাজ চলছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাণিজ্যিক এবং গৃহস্থ্য উভয় ক্ষেত্রেই প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব এবং পুরো কমিশনারের সঙ্গে GAIL-এর কর্মকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। যার বহিঃপ্রকাশ বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার কর্মব্যস্ততাকেই তুলে ধরছে। মেয়র গৌতম দেব এই প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার এবং পৌর বিভাগ কলকাতায় GAIL-এর জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ট্রান্সমিশন সিস্টেম বাস্তবায়নের একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটর পদ্ধতি তৈরি করেছে এবং শিলিগুড়িতেও তারাও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে কাজ করছে।

জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি সেবক রোড থেকে দার্জিলিং মোড়, শিবমন্দিরের কদমতলা থেকে ফুলবাড়ীর ক্যানেল মোড় পর্যন্ত মেইনলাইনের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বর্তমানে সেবক মোড় থেকে সেবক রোড হয়ে ভক্তিনগরে লাইনের কাজ চলছে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে দ্রুত এই কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে আরোও জানা গিয়েছে, পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ইতিমধ্যেই মেয়র-ইন-কাউন্সিলের সঙ্গে আলোচনা করে বোর্ড মিটিংয়ে রেজোলিউশনের মাধ্যমে শিলিগুড়িতে ১২০০ কিলোমিটার জুড়ে এই প্রকল্প চালু হতে চলেছে। যার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৭ কিলোমিটারের কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজে এই প্রকল্প ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেমন এই প্রাকৃতিক গ্যাস কোনরকম দূষণ করে না এবং পরিবেশ বান্ধব। তাই বায়ুদূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। সিলিন্ডারের তুলনায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাসের খরচ অনেকটাই কম হবে। এতে নিম্নবিত্ত মানুষরা উপকৃত হবেন। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা গ্যাস সরবরাহ করা নিশ্চিত হবে। ফলে উৎসব অনুষ্ঠানে গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ার কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না। এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে চলেছে শিলিগুড়িবাসীর জন্য। এই উদ্যোগ শিলিগুড়িবাসীর জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করবে এবং পরিবেশবান্ধব গ্যাস পরিষেবার পথে একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।